নতুন বছরের প্রথম দিনেই মিলেছে খুশির খবর। বনাঞ্চলে বসানো ক্যামেরা তে ধরা পড়েছে কালো চিতার দল। অবশ্য রঙগুলো কালো, অনেকটা ভুসোকালি মত। একটা নয়, একাধিক। আসলে আকারটা চিতা বাঘের মতো হলেও রংটা কালো। সেই কালো চামড়ার ভিতরে চিতা বাঘের মত সাদা দাগ দেখা যায় স্পষ্ট ভাবে। এটারই নাম ব্ল্যাক প্যান্থার বা কালো চিতা। ডুয়ার্সের বক্সা প্রকল্পে সর্বপ্রথম দেখা মিলেছে এই প্রাণীটির । ডুয়ার্সএর জঙ্গলের জীববৈচিত্রের মধ্যে এ এক নতুন সংযোজন।
ঠিক এক বছর আগে, এইরকম একজোড়া ব্ল্যাক প্যান্থার ধরা পড়েছিল বনদপ্তর এর ক্যামেরায়। তারপরের দিনই এক টুরিস্টের ক্যামেরা বন্দি হয়েছিল প্রাণীটি। তারপর থেকেই বনে জঙ্গলে জীব বৈচিত্রের কোন পরিবর্তন ঘটল কিনা তা দেখার জন্য প্রায় ১৪০ টি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল বক্সারের জঙ্গলে।
রাজ্যের বনদপ্তর সূত্রে খবর গত ৭ দিন ধরেই বিভিন্ন ক্যামেরায় একাধিক ব্ল্যাক প্যানথারের দেখা মিলেছে। প্রতিটি প্রাণী একে অপরের থেকে আলাদা, এ থেকে বোঝা যায় যে জঙ্গলে চিতার সাথে সাথে রয়েছে ব্ল্যাক প্যান্থার ও।
রাজ্যের চিফ ওয়াইল্ড ওয়ালডার্ন বিনোদ যাদব জানিয়েছেন, বক্সারের জঙ্গলে বসানো ট্র্যাপ ক্যামেরা প্রায় ৩০ টি ছবি তুলেছে ব্ল্যাক প্যানথারের। তার অনুমান, এই অভায়ারণ্য অন্তত ৮টি ব্ল্যাক প্যান্থার অবস্থান করছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন যে ব্যাঘ্র প্রজাতির ‘ক্লাউডেড লেপার্ড’ এবং ‘গোল্ডেন ক্যাট’ ও পাওয়া গিয়েছে ওই বনাঞ্চলে। এ থেকেই বোঝা যায় বিশেষ পরিবর্তন ঘটছে জীববৈচিত্র্যে।
যদিও এই ধরনের ব্ল্যাক প্যান্থার, ক্লাউডেড লেপার্ড ও গোল্ডেন ক্যাট জাতীয় প্রাণীরা দিনের বেলায় ঘন জঙ্গল থেকে খুব একটা বাইরে বের হয় না। তাই পর্যটকরা তাদেরকে কতটা দেখতে পাবে! তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।