শেষমেশ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিধানসভা থেকে এদিন হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে বের হন। তবে দলের সদস্যপদ ত্যাগ করেননি তিনি। তবে রবিবার অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা তা এখনও জানাননি তিনি। তবে কাল এই নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজীব।
শুক্রবার বিধানসভায় এসে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন বিধানসভা থেকে বের হয়ে তিনি বলেন, “আমি সম্মানীয় অধ্যক্ষের হাতে ইস্তফাপত্র দিয়েছি। তাঁর কিছু প্রশ্ন ছিল। তিনি প্রশ্ন করেছেন।” এদিন রাজীব আরও বলেন, তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন সবার সাহায্য পেয়েছেন। তাই দলীয় নেতা ও সদস্যদের পাশাপাশি জনসাধারণকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ। যেভাবে তাদের ভালবাসা ও সহযোগিতা ১০ বছর ধরে পেয়েছি তাতে আমি কৃতজ্ঞ।” এছাড়া দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাজীব। ডোমজুর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষকেও জানিয়েছেন ধন্যবাদ। তিনি বলেছেন, তাঁদের পাশে তিবি আগামী দিনেও থাকবেন। তারণ তিনি রাজনীতি করেন মানুষের স্বার্থে।
তবে রবিবার অমিত শাহের সভায় তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা তা এদিন ধোঁয়াশাই রাখলেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা দরকার। নির্দল থেকে মানুষের জন্য কাজ করা যায় না। তবে তিনি এখনও তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেননি। এখনও তৃণমূলেরই সদস্য তিনি। তবে যদি কখনও মতের পরিবর্তন করেন তবে অবশ্যই জানাবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ তা জানতেও পারবেন। কথা প্রসঙ্গেই আগামীকাল কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানানোর ইঙ্গিতও দেন রাজীব।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ, বেদনা নিয়েই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি নিজেই একথা জানিয়েছিলেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।