
কর্ণাটকের এক বাস চালককে কর্তব্যরত অবস্থায় বাস থামিয়ে নামাজ পড়ার কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ এপ্রিল, যখন চালক এ. আর. মুল্লা হাঙ্গাল থেকে বিশালগড় যাওয়ার পথে যাত্রীভর্তি বাসটি থামিয়ে দেন। তার নামাজ পড়ার দৃশ্যের ভিডিও এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়।
এই ঘটনার পর কর্ণাটকের পরিবহন মন্ত্রী রামালিঙ্গা রেড্ডি উত্তর পশ্চিম কর্ণাটক সড়ক পরিবহন সংস্থার (NWKRTC) ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে একটি চিঠি লিখে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকলেও, কর্তব্যরত অবস্থায় এমন কাজ করা উচিত নয় যা কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। তিনি আরও বলেন, “সকলের ধর্ম পালনের অধিকার আছে, কিন্তু সরকারি চাকরিতে থাকা ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট নিয়ম ও বিধি মেনে চলতে হবে। যাত্রীদের নিয়ে চলমান বাস হঠাৎ থামিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।” মন্ত্রী জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।

এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে চালকের সমালোচনা করে বলেছেন যে, এই কাজটি জনসাধারণের পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। অন্যদিকে, কিছু মানুষ চালকের পক্ষে সওয়াল করে বলেছেন যে, ধর্ম পালন প্রত্যেকের ব্যক্তিগত অধিকার এবং নামাজ পড়তে মাত্র ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে, তাই এতে বড় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত চালক এ. আর. মুল্লাকে তার দায়িত্ব থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে জনমত বিভক্ত হলেও, কর্তৃপক্ষ এখন তদন্তের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির সত্যতা যাচাই করছে।