লোকসভা ভোটের মধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করলেন কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই এই মামলায় জেলে আছেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ একাধিক কর্মকর্তা।
সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করলেন কলকাতা হাইকোর্ট। রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের সাবেক বিচারপতি এবং বর্তমানে তমলুকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দুর্নীতির দায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
অভিজিত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে জোচ্চুরি করেছেন। তার পদত্যাগ করা উচিত।’সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করছে। সব মিলিয়ে ৩৫০টি মামলা রুজু হয়েছিল এই ঘটনায়।
রায়ের ব্যাপারে আদালত বলেন, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বাতিল করা হচ্ছে। এর ফলে বাতিল হচ্ছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের সুদসহ বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই অর্থ ফেরত দিতে হবে। বার্ষিক সুদের হার ১২ শতাংশ হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার নির্দেশে বহু নিয়োগ বাতিল হয়েছিল। সোমবার সেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় দেন কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে মামলাটি চলেছিল হাইকোর্টে। গত ২০ মার্চ শুনানি শেষ হয়। কিন্তু আদালত রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল। সোমবার সেই রায় দেওয়া হলো।
মানবিক কারণে চাকরি থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসকে বরখাস্ত করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত। বাকি২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে।