নির্বাচন এলেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিষেদগার শুরু করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাজ্যের ‘মিয়া’ মুসলমানদের উদ্দেশে বার্তা দেন দিনি। আসামে থাকতে হলে
তাঁদের ওপর কিছু শর্ত জুড়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘মিয়ারা আসামের মূল নিবাসী মানুষ কি না, তা ভিন্ন বিষয়। আমরা বলছি, তাঁরা যদি মূল নিবাসী হওয়ার চেষ্টা করেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এ জন্য তাঁদের বাল্যবিবাহ এবং বহুবিবাহ ত্যাগ করতে হবে এবং নারীশিক্ষাকে উৎসাহিত করতে হবে। দুটির বেশি সন্তান নেওয়া যাবে না।’
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের সব সময় বলি, “মিয়াদের” আসামের মূল নিবাসী হতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তাদের দুই-তিনটি স্ত্রী থাকতে পারে না। এটা অসমিয়া সংস্কৃতি নয়। কীভাবে কেউ “সত্র” (বৈষ্ণব মঠ) জমি দখল করে মূল নিবাসী হতে চায়?’
মিয়া মুসলমানদের উদ্দেশে হিমন্ত বলেন, তাদের মাদ্রাসাশিক্ষা এড়িয়ে চলতে হবে। মাদ্রাসাশিক্ষার পরিবর্তে তাদের চিকিৎসক বা প্রযুক্তি কৌশলী হওয়ার পরামর্শও তিনি।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা মেয়েদের শিক্ষিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং পৈতৃক সম্পত্তিতে তাদের উত্তরাধিকারের অধিকার দেওয়ার পক্ষেও কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে আসামে বিজেপি সরকার বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ সময় অনেক মুসলমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
বাল্যবিবাহ রোধের অজুহাতে মুসলমান পুরুষদের গ্রেফতারের সমালোচনা করেছিল বিভিন্ন সংখ্যালঘু ও মানবাধিকার সংগঠন।