প্রতিশ্রুতি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হল নিহত মইদুলের স্ত্রীকে

কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযানে গত ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের লাঠির আঘাতে মারা যান মইদুল ইসলাম মিদ্যা। সেদিন সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, তিনি নিহত মইদুলের পরিবাররের একজনকে চাকরি দিতে চান। সেই প্রতিশ্রুতির এক সপ্তাহ পেরতে না পেরতেই রাজ্য সরকারের তরফে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হল নিহত মইদুল ইসলাম মিদ্যার স্ত্রী মামনি খাতুনকে। শুক্রবার মইদুল ইসলাম মিদ্যার স্ত্রীর মামনি খাতুনের হাতে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হয়। রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও, বাঁকুড়া জেলা শাসক রাধিকা আইয়ার এই নিয়োগ পত্র মামনি খাতুনের হাতে তুলে  দেন।

উল্লেখ্য, শিক্ষিত বেকার যুবক মইদুল ইসলাম মিদ্যা চাকরি না পেয়ে আটো রিকশা চালিয়ে সংসার নির্বাহ করতেন। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল গোটা পরিবার।  আগামী দিনে সংসার চলবে কি করে ছেলে মেয়েরা মানুষ হবে কি করে । মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস মতো  চাকরি পেয়ে খুশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মইদুল ইসলাম মিদ্যার পরিবারের সকল সদস্য ও এলাকার সাধারণ মানুষরা।

বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত হিসেবে এই পরিবারের পাশে থাকতে পেরে আমি গর্বিত। মুখ্যমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি মত মইদুল ইসলাম মিদ্যার স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছেন। উনি কোতুলপুর থানায় হোম গার্ডের ডিউটি করবেন।

মইদুল ইসলাম মিদ্যার স্ত্রী মামনি খাতুন বলেন , মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে আমি অত্যন্ত আনন্দিত, তার কাছে কৃতজ্ঞ, অসংখ্য ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীকে। এর ফলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে আগামী দিনে সংসার চালাতে পারব, তাদের শিক্ষায় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

Latest articles

Related articles