নিউজ ডেস্ক : ১৭ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া ট্যাবলোগুলির মধ্যে সেরার খেতাব ঘোষণা করলো কেন্দ্রের মোদি সরকার। বিতর্কিতভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শিক্ষা সমৃদ্ধি, ইতিহাস,ঐতিহ্য শিল্প,সাহিত্য ইত্যাদির ওপরে তৈরি হওয়া ট্যাবলোগুলোকে বাদ দিয়ে যোগীর রাজ্যের তৈরি বিতর্কিত রাম মন্দির ট্যাবলো সেরার পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। সাধারণতন্ত্র দিবসে অংশগ্রহণ করা সমস্ত ট্যাবলোর মাঝে এই ট্যাবলোটি সবথেকে বেশি বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল। আপাদমস্তক সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষের সাধারণতন্ত্র দিবস এ কীভাবে এক সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ট্যাবলোর অংশগ্রহণের অনুমতি দিলো সেটা নিয়ে রয়েছে বিস্তর জল ঘোলা। কিন্তু এই বিতর্কের মাঝেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সেই বিতর্কিত এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাম মন্দির ট্যাবলোকে সেরার স্বীকৃতি প্রদান করল।
এমনিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্যাবলোতে রাজ্যগুলি নিজেদের সংস্কৃতি এবং সাফল্য ট্যাবলোর মাধ্যমে দেশ তথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে। এবারের কুচকাওয়াজে উত্তরপ্রদেশ সরকার অযোধ্যায় নির্মীয়মাণ রাম মন্দিরের নকশা তুলে ধরে। কয়েকজন অভিনেতা মহর্ষি বাল্মীকি এবং তাঁর শিষ্যদের বেশে সশরীরে ট্যাবলোতে উপস্থিত ছিলেন। ট্যাবলোর মধ্যেই রামায়ণের কাহিনি তুলে ধরা হয়। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই ট্যাবলোকেই এবারের কুচকাওয়াজের সেরা ট্যাবলোর স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
উল্লেখ্য মোদি সরকার গত বছর বাংলা থেকে প্রেরণ করা সংস্কৃতিক ট্যাবলোকে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়নি। কিন্তু এবছর প্রবল চাপের মুখে মোদি সরকার অনুমতি দিয়েছে বাংলার সবুজসাথী প্রকল্পের এর ওপর তৈরি ট্যাবলোটিকে। বাংলার সবুজ সাথী প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্তরে রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত হলেও মোদি সরকারের কাছে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য নয় বরং তার থেকে বেশি দাবিদার বিতর্কিত সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ট্যাবলোটি।