করোনার পর চেপে বসছে মিউকরমায়োসিস, নির্দেশিকা ICMR-এর

করোনা থেকে মুক্তির পর দিল্লিতে কিছু করোনা রোগীর মধ্যে মারাত্মক ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটছে বলে দাবী চিকিৎসকদের, আর এর কারণ করোনা সংক্রমণই। সরকার আজ এই রোগের চিকিত্‍সার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

এই ঘাতক ছত্রাকটি মিউকরমায়োসিস নামে পরিচিত। এই সংক্রমণের কারণে অনেক রোগী চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন বা কিছু ক্ষেত্রে, এই সংক্রমণ মস্তিষ্ককেও প্রভাব ফেলে। চিকিত্‍সকরা বলছেন যে, যদি খুব দ্রুত এই সংক্রমণ সনাক্ত না হয় এবং এর চিকিত্‍সা না করা হয় তবে তা মানুষের জীবনও নিতে পারে। এবার এই ভয়ঙ্কর রোগ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল ICMR।

মৃদু লক্ষণ –
১. চোখ এবং নাকের চারপাশে ব্যথা এবং লালভাব
২. জ্বর
৩. মাথা ব্যথা
৪. কাশি
৫. শ্বাসকষ্ট
৬. বমি
৭. মানসিক অবস্থার পরিবর্তন

গুরুতর লক্ষণ-

১. বন্ধ নাক, জল পড়া নাক দিয়ে
২.গালে হাড়ে ব্যথা, মুখে ফোলাভাব
৩. শুকনো কাশি
৪. দাঁতে ব্যাথা
৫. চামড়া ফুসকুড়ি
৬. ঝাপসা চোখ
৭. বুকে ব্যাথা

সংক্রমণের কারণ –

১.ডায়াবেটিস
২. স্টেরয়েড ওষুধের ব্যবহার (যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে)
৩.দীর্ঘদিন আইসিইউতে থাকলে
৪. অন্য কিছু মারাত্মক রোগে ভুগলে
৫. ভেরিকোনাজল থেরাপি

লক্ষণ দেখা গেলে কি করতে হবে

১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
২.করোনার রোগীদের রক্তে গ্লুকোজ লেভেল পরীক্ষা করতে হবে।
৩. সঠিক সময়ে স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহার করতে হবে এবং সঠিক ডোজ গ্রহণ করতে হবে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে
৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার জল পান করতে হবে। দরকার হলে জল ফুটিয়ে খেতে হবে।
৬. অ্যান্টিবায়োটিক / অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধগুলি সঠিকভাবে এবং সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
৭.কমপক্ষে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল থেরাপি অনুসরণ করতে হবে।
৮. প্রয়োজনে মাইক্রোবায়োলজিস্ট, নিউরোলজিস্ট, ইএনটি বিশেষজ্ঞ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, ডেন্টিস্ট সার্জন এবং বায়োকেমিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
৯. সংক্রমিত হলে চিকিত্সার ক্ষেত্রে গাফলতি করা যাবে না।
১০. নাক বন্ধ হলেই সাইনোসাইটিস হিসাবে ভাববেন না।
১১.সঠিক সময়ে ছত্রাকের সংক্রমণ পরীক্ষা করতে দ্বিধা করবেন না।

সংক্রমণ এড়াতে যা করতে হবে

১. ধুলোবালি থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
২. উদ্যান সম্পর্কিত কোনও কাজ করার আগে জুতা, লম্বা প্যান্ট বা লম্বা হাতা শার্ট এবং গ্লোভস পড়তে হবে, অর্থাত্‍ ধুলোকে যেকোন প্রকারে এড়িয়ে চলতে হবে।
৩.পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে, যার মধ্যে হাত ধোয়া এবং ভালভাবে স্নান করা অন্তর্ভুক্ত।

Latest articles

Related articles