সেখ সাদ্দাম, মালদাঃ টেন্ডার বিলিকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। মালদহের চাঁচল-২ ব্লকের গৌড়হন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। মঙ্গলবার টেন্ডার বিলি করার কথা থাকলেও ঠিকাদারদের ফর্ম দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। দুর্নীতি করতে প্রধান তার ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের গোপনে টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ফলে মঙ্গলবার টেন্ডার ফর্ম দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান বা উপপ্রধান কেউই হাজির হননি বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে পঞ্চায়েত দফতরে উত্তেজনা ছড়ায়। দফতরে তালা মেরে বিক্ষোভও দেখানো হয়। পরে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ প্রধান অস্বীকার করেছেন! প্রধান পুস্প ওরাও বলেন, আমরা দফতরেই ছিলাম। আমরা ফর্ম দিতে চাইলেও ওরা নিতে চায়নি। বদনাম করতে এসব তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। চাঁচল-২ ব্লকের বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আপাতত টেন্ডার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে! সব খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
এক ঠিকাদার আমানত সরকারের অভিযোগ,পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত তাই প্রধান নিজে টেন্ডার বিক্রি করছে। এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পের প্রায় দুই কোটি টাকার কাজের টেন্ডার বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ। বিজেপির মতোই ট্রেন, বিমান বিক্রির মতো টেন্ডার বিক্রি করে খাচ্ছে প্রধান বলে অভিযোগ ওই ঠিকাদারের। তিনি আরোও বলেন, টেন্ডার বাতিল না হলে আমরা জেলা প্রশাসনের দারস্থ হব এবং হাইকোর্টে মামলা করব বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন টেন্ডার থেকে বঞ্চিত ঠিকাদার আমানত সরকার।
এবিষয়ে মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, চাঁচল এলাকায় একটি মাত্র বিজেপির পঞ্চায়েত। তাই তৃণমূল সর্বদা সবসময় পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে বাধা দিচ্ছে। তবে বিজেপির প্রধান যে টেন্ডার বিক্রি করে খাচ্ছে তা কৌতুক বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কাটমানি সংস্কৃতি তো তৃণমূলের মধ্যে আছে। গোটা রাজ্য জানে কাটমানি কারা খাচ্ছে।
তবে গৌরহন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান পুস্পা ওরাও এই দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকলে তা দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির জেলা কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম।