নিউজ ডেস্ক : গো-হত্যা কে মানুষ হত্যা সমান করে দেখার দাবি তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতাপ সারেঙ্গী। কোথাও গোহত্যা হলে এবং এই অপরাধে কাউকে দোষী পাওয়া গেলে তাকে মানুষ হত্যাকারীর সমপরিমাণ শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। উড়িষ্যার বালেশ্বর লোকসভা আসন থেকে নির্বাচিত প্রতাপ সারাঙ্গী বর্তমানে মোদি সরকারের অধীন দুটি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন।
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি, দাঙ্গা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ সহ অন্তত সাতটি গুরুতর ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ওড়িশার বজরং দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি প্রতাপ সারেঙ্গী বালাসরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন ব্যক্তির মৃত্যুর ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন নয়াদিল্লিতে তার সরকারি বাসভবনে। ওড়িশার বালাসরে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং সেই গাড়িতে থাকা ১৫ টি গরুর ও বেশিরভাগ মারা যায়। মৃত ব্যক্তিদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করেই এই বজরং নেতা সাংবাদিকদের বলেন, গরুগুলিকে অবশ্যই কোথাও হত্যা করার জন্যই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত হয় কলকাতায় অথবা বাংলাদেশে। তিনি বলেন, আমি যখন সকালে কলকাতায় ছিলাম তখন ঘটনাটি আমার কানে আসে, তৎক্ষণাৎ আমি উড়িষ্যার সমস্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। মানব মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গো মৃত্যুর জন্য মরাকান্না করা এই মানবিক মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক কে অনুরোধ করেছি রাজ্যে বর্তমানে গোহত্যা বিরোধী আইন রয়েছে তা সংশোধনের জন্য। উল্লেখ্য বর্তমানে ওড়িশায় গোহত্যা বিরোধী আইন অনুযায়ী গোহত্যাকারী এবং গো হত্যায় সাহায্যকারী কে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু প্রতাপ সারেঙ্গী দাবি করেন মানুষ হত্যা করলে যেমন ন্যূনতম একটা ব্যক্তিকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় এমনই শাস্তির বিধান প্রয়োজন গোহত্যার ক্ষেত্রেও।
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি, দাঙ্গা লাগানো, নিষিদ্ধ মাদক চোরাচালান, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, শিশু পাচার সহ বিভিন্ন কারণে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার উড়িষ্যা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে প্রতাপ সারেঙ্গীকে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাসের এক কূটনীতিবিদ এর হত্যার সঙ্গেও তিনি অভিযুক্ত ছিলেন। তবে বর্তমানে মোদি সরকারের আশীর্বাদ ধন্য এই মন্ত্রী মানবপ্রেম ছেড়ে গোপ্রেমকেই নিজের ভবিষ্যৎ গন্তব্য হিসাবে গ্রহণ করেছেন।