
২৭ মার্চ, হরিয়ানার পালওয়াল শহরে একটি বড় বিতর্ক শুরু হয় যখন জেলা প্রশাসন, পুলিশের বড় দল নিয়ে, মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের মালিকানাধীন মাংসের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনা শহরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মুসলিম দোকানদাররা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠছেন।
দোকান মালিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং প্রশ্ন তোলেন, কেন শুধু তাদের দোকানগুলোই বন্ধ করা হলো, যেগুলো মুসলিমদের হাতে রয়েছে, অথচ শহরের বাকি মাংসের দোকানগুলো খোলা থাকল। একজন দোকানদার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন,
“এটা আমাদের জীবিকার একমাত্র পথ। প্রশাসন শুধু মুসলিমদের দোকান বন্ধ করে অন্যায় করছে। এখানে তারা চারটে দোকানে তালা দিয়েছে। তাহলে শহরে ছড়িয়ে থাকা বাকি ২০০ দোকানে তালা কেন লাগছে না?”
তারা দাবি করেন, এই পদক্ষেপ ধর্মীয় ভিত্তিতে তাদের উপর আঘাত হানছে।

প্রশাসনের বক্তব্য, যে দোকানগুলো বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলো শহরের বাইরের কসাইখানা থেকে মাংস আনছিল। অন্যদিকে, যে দোকানগুলো খোলা আছে, সেগুলো সরকারি অনুমোদিত কসাইখানা থেকে মাংস সংগ্রহ করে। তারা মুসলিম দোকানদারদের পরামর্শ দিয়েছে, অনুমোদিত কসাইখানার কাছে গিয়ে ব্যবসা চালাতে। তাদের মতে, এই দোকানগুলো স্থানীয় নিয়ম মানছিল না।
এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। অনেকে বলছেন, এটা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ। দোকান মালিকরা সমান ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা জানতে চান, কেন শুধু তাদের ব্যবসার উপরই এই নিষেধাজ্ঞা পড়ল।
পালওয়ালের এই ঘটনা ধর্মীয় পরিচয় আর ব্যবসার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে এমন এলাকায়, যেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায় একসঙ্গে বাস করে, সেখানে এটা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের ন্যায্যতা ও সমতার মানদণ্ড নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
এই বিতর্ক এখনো থামেনি। প্রতিবাদ আর আলোচনা চলছে, আর পালওয়ালের মানুষ জানতে চায়—এর পরিণতি কী হবে?