একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে গঙ্গা পাড়ে পূজো, ঈদ ও বড়দিনের মিলন উৎসব ঘিরে চাঁদের হাট

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20201228-WA0008

এনবিটিভি ডেস্ক: একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে ছুড়ে ফেলার আহ্বান জানিয়ে অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে পঞ্চানন্দপুরের গঙ্গা পাড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পূজো-ঈদ ও বড়দিনের মিলন উৎসব।

এক ঝাঁক টলিউড শিল্পী ও রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও একাধিক তৃণমূলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে চাঁদেরহাট বসে গঙ্গা পাড়ে।

শীতের মরসুমে পঞ্চানন্দপুরের গঙ্গা পাড়ে সাজো সাজো রব। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হচ্ছে তারকা আঞ্চলিক ভাষার শ্যামা স্যান্যাল, টলিউডের নেতা জয় ব্যানার্জী , দেবশ্রী ভট্টাচার্য, সহ একাধিক নায়ক নায়িকারা। নায়ক-নায়িকার উপস্থিতির খবরে গঙ্গা পাড়ে এই মিলন উৎসব ঘিরে সম্প্রীতির বার্তা বহন করে।

পঞ্চানন্দপুরে ২৭শে নভেম্বর রবিবার উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একাধিক বিধায়ক জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতা ও নেতৃবৃন্দ। এদিনের অনুষ্ঠানে এক আকর্ষণ অন্যতম অভিনেত্রী সভাপতিত্ব করেন। নয়াবাজার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসের জামান মনি। উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল এসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি (বাবুন), মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান ড: মোয়াজ্জেম হোসেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কো অর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ি, দুলাল সরকার, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোসারাফ হোসেন, মালদা জেলা তৃণমূল জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কৃষ্ণ দাস।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন এর পাশাপাশি অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অরগানাইজেশন রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলিতে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছে।

এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে মালদা জেলার গঙ্গা পারে পঞ্চনন্দপুর পূজা, ঈদ ও বড় দিনের মিলন উৎসব আয়োজন করে এই শাখা সংগঠন। ২৭ ডিসেম্বর রবিবার এই আয়োজনকে ঘিরে চাঁদের হাট বসে পঞ্চনন্দপুরের গঙ্গা পাড়ে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন এ আই এম ও সর্বভারতীয় সভাপতি নাসির আহমেদ।

এক ঝাঁক মন্ত্রী ও বিশিষ্টজনেরা আসবেন বলে প্রচার করা হলেও পোস্টার, ফ্লেক্স লাগানো হয়। পঞ্চানন্দপুর তো বটেই এমনকি জেলাজুড়ে প্রচার করা হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত মন্ত্রীরা না আসায় পঞ্চানন্দপুর সহ কালিয়াচক ২ ব্লকের বাসিন্দা ও স্থানীয় তৃনমূল নেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এর ফলে মোথাবাড়ি বিধানসভার এলাকায় এই মিলন উৎসবকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও সভাগৃহ স্থানীয় মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও শেষ মুহূর্তে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর আসার খবর করোনারি টিকা থাকার জন্য আস্তে থাকলেও তিনি আসতে না পারায় হতাশ হয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। যদিও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সভায় বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে সকল বক্তা এই সভায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর বক্তব্য প্রদান করে বিজেপিকে আগামি নির্বাচনে বিজেপিকে উত্খাত করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় গঙ্গা ভাঙন নাগরিক একশন কমিটির কর্ণধার তরিকুল ইসলাম এআইএম ওর মাধ্যমে ভাঙ্গন ও তার প্রতিরোধ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

অল ইন্ডিয়া মাইনোরটি অর্গানাইজেশনের সর্বভারতীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির আহমেদ জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় মানুষের মধ্যে এন আর সি আতঙ্ক, এবং বিজেপির যে সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে ও সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি করতে ঈদ ও পূজা মিলন উৎসব সম্পন্ন হলো। তাছাড়া বিজেপি সরকার ও তার দল সারা রাজ্যে যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বপন করেছে তার হাত থেকে রাজ্যবাসী কে বাঁচাতে এই ধরনের মিলন উৎসব মেলা আয়োজন করা।”

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর