কৃষক আন্দোলন তাবলীগ মারকাজ হয়ে উঠতে পারে, কেন্দ্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট

নিউজ ডেস্ক : দিল্লির অদূরে তিক্রি এবং সিংঘু বর্ডারে লক্ষ লক্ষ কৃষক এই করোনা মহামারীর সময় প্রবল শৈত্য প্রবাহকে উপেক্ষা করে কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত অবস্থায় রয়েছেন সেই নভেম্বর মাস থেকে। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষি বিল প্রত্যাহার না করার অবস্থানে অনড়। কেন্দ্রের সঙ্গে বারবার আলোচনার পরও এখনো পর্যন্ত মেলেনি কোন রফাসূত্র। সুপ্রিম কোর্টের দরজা নাড়িয়েও কাজ হয়নি। কিন্তু এবার সেই আন্দোলনরত কৃষকদের বৃহৎ আন্দোলনের জন্য করোনা সংক্রমনের হার বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে জিজ্ঞেস করেছে কৃষক আন্দোলন নিজামুদ্দিন মারকাজের প্রতিলিপি হয়ে উঠবে না তো! এত বিপুল সংখ্যক কৃষকের আন্দোলন স্থলে করোনার সংক্রমণ রোধে কোন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়।

প্রধান বিচারপতি শরৎ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে জানতে চান তারা তাবলীগের নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকে কি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তার নেতিবাচক উত্তরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ কেন্দ্রকে দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের দ্বারা করণা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।

ইতিমধ্যে কেন্দ্রের কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার সাথে জানিয়ে দিয়েছেন কৃষি বিল প্রত্যাহার করা যাবে না যে কেউ চাইলে সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলা আছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট যে কৃষকদের পরিবর্তে কেন্দ্রের পক্ষেই কথা বলেছে এর আগে একই ব্যাপারে, তাই সেখান থেকে কৃষকদের দাবি পূরণের সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন কৃষক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারকে আপাতত কৃষি বিল এর বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার পরামর্শ দিলেও কেন্দ্র সরকার তা মানেনি। এ পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টের এই করোনা সংক্রমনের উদ্বেগকে হাতিয়ার করে কৃষক আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে আরো বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে পারে মোদি সরকার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে ১৮, ২৩ এবং ২৬ শে জানুয়ারিতে কৃষকরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এরমধ্যে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড এর পর বিশাল ট্রাক্টর প্যারেড সহকারে দিল্লিতে প্রবেশের কর্মসূচি রয়েছে তাদের।

Latest articles

Related articles