নিউজ ডেস্ক : যেকোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আজ দুর্নীতির দায়ে বিজেপির নিশানায় থাকলেও কাল সে নির্দ্বিধায় এবং বিনা শক্তি অপচয়ে বিজেপিতে যোগ দান করতে পারে। সে কোনো দুর্নীতিবাজ হোক, মাফিয়া বা সমাজবিরোধী এমনকি সন্ত্রাসবাদীদের ও নিজেদের দলে সাড়ম্বরে গ্রহণ করেছে তারা।বিজেপি ছাড়ার পরও ফিরতে পারে বিজেপিতে। কিন্তু ফরওয়ার্ড যে বিজেপি না তা বুঝলেন দলেরই প্রাক্তন সদস্য মঈনউদ্দিন শামস। যিনি ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসেন। কিন্তু এখন বাম ব্লকে ফিরতে চাইলেও দল নাকে সটান না বলে দিল।
বাবা কলিমুদ্দিন শামস আজীবন বামফ্রন্ট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের (All India Forward Bloc ) নেতা ছিলেন। বেশ কয়েকবার বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রীও হন। কলিমুদ্দিন শামস প্রয়াত হওয়ার পর হাল ধরেন মইনুদ্দিন। কিন্তু ২০১১ সালে ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে মত বদল করেন তিনি। ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখান মইনুদ্দিন। নলহাটি থেকে বিধায়ক হন। এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় জায়গা করতে পারেননি। তালিকায় নিজের নাম না দেখে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন। শনিবার সকালে ভিডিওবার্তা মারফত দল ছাড়ার ইঙ্গিত দেন। তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন নলহাটির এই বিধায়ক। বেলা গড়াতেই নিজের পুরনো দল ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য দপ্তরে হাজির হন। কিন্তু তখন রাজ্য দফতরে শীর্ষনেতৃত্ব হাজির না থাকায় নিচেই বসিয়ে রাখা হয়। মইনুদ্দিনের আসার খবর পেয়ে একে একে হাজির হন পার্টি রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফিজ আলম সাইরানি। তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। দলে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ফরওয়ার্ড ব্লকের এই প্রাক্তন নেতা। কিন্তু সেখানেও আশাভঙ্গ হয় তাঁরা।
দলে যোগ দিতে চান। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন শামস। কিন্তু প্রাক্তন সহকর্মীদের কাছ থেকে উলটে কটু কথা শুনতে হয় তাঁকে। ফরওয়ার্ড ব্লক সূত্রে এমনটাই খবর। তাঁকে এখনই দলে নেওয়া যাবে না, বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, বামপন্থী দল ছেড়ে যাওয়া সোজা। কিন্তু চাইলেই ঢোকা যায় না। নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে হয়। তাই এখনই তাকে দলে নেওয়া সম্ভব নয়, বলে জানিয়ে দেন নরেন চট্টোপাধ্যায়েরা। কার্যত খালি হাতেই ফিরে যেতে হয় প্রাক্তন মন্ত্রীর ছেলেকে। এই ঘটনার আগে অবশ্য বিস্ফোরক ভিডিও বার্তা দেন মইনুদ্দিন। তার অভিযোগ, তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক। টুপি পড়ে ধর্মাচরণ করেন। তাই তৃণমূল (TMC) তাঁকে টিকিট দেয়নি বলে অভিযোগ মইনুদ্দিনের।