বিহারে গণতন্ত্রের কবর খুঁড়ল নীতিশ কুমার! সরকার বিরোধী মন্তব্যের “অপরাধে” হবে শাস্তি

নিউজ ডেস্ক : দেশের সমস্ত প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে সবসময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। এবার সেই দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে বিজেপিকে অনুসরণ করল বিজেপির শরিক দল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড। এবার বিহারে অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নীতিশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে হতে পারে আপনার জেল কিংবা জরিমানা অথবা দুটোই। এই মর্মে নীতিশ কুমার নিয়ে আসছেন নয়া আইন।

সরকারের এই নতুন আইনে যখন-তখন গ্রেপ্তার করা যাবে সরকার, সরকারের কোন নেতা, মন্ত্রী বা আধিকারিক এর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট বা মন্তব্য করা যে কোন ব্যক্তিকে। এরই মাধ্যমে নীতিশ কুমার সরকার বিহারে আরজেডি সহ বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের এবং বুদ্ধিজীবীদের কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। লালুপ্রসাদ তনয় এবং জনপ্রিয় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব টুইটারে লিখেছেন, “নীতিশ কুমার নিজে ৬০ টি দুর্নীতি মামলার সৃষ্টিকর্তা দুর্নীতির ভীষ্ম পিতামহ।” তিনি এই আইনের বিরুদ্ধে আরো সুর চড়িয়ে বলেন, *আমি বলছি বিহারের পুলিশ অনৈতিক কাজ করে। পুলিশ মদ বিক্রি করে, অপরাধীদের রক্ষা করে এবং নিরপরাধ এর ফাঁসায়। আমি নিতিশ কুমার কে চ্যালেঞ্জ করছি এখন পারলে আমাকে গ্রেফতার করে দেখান।”

তবে বিজেপির শরিক জেডিইউ-এর নীতীশ কুমার এইসব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে রাজ্য পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখাকে এই বিষয়টি নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, সরকার, তার মন্ত্রী, সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোন রাজনৈতিক নেতা বা কোন আধিকারিক এর বিরুদ্ধে করা মন্তব্য সাইবার ক্রাইম এর আওতায় আসবে সুতরাং যে কোন ব্যক্তিকে এই অপরাধে অভিযুক্ত করা যাবে।

তবে নীতীশ কুমারের আনা এই বিতর্কিত আইন এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারিদের। এরই মাধ্যমে ভারতবর্ষে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের নয়া যুগ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বহু বুদ্ধিজীবী।

Latest articles

Related articles