নিউ জলপাইগুড়ি স্থলবন্দরে হামলার ঘটনায় আইএনটিটিইউসির সভাপতি প্রসেনজিত্ রায়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল শাসক-শিবির। দল থেকে বহিষ্কার করা হল দাপুটে নেতাকে। রবিবার শিলিগুড়ির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তথা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক গৌতম দেব ও দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থলবন্দরে বিভিন্ন কাজের জন্য যেসব টেন্ডার ডাকা হত, তা থেকে মোটা টাকা পকেটস্থ করার অভিযোগ উঠেছিল প্রসেনজিত্ রায়ের বিরুদ্ধে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে আচমকা লরিবোঝাই শ্রমিক অতর্কিতে হামলা চালায় স্থলবন্দরে। গেট ভেঙে ঢুকে চলে বেপরোয়া ভাঙচুর। প্রায় আড়াই কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। ওই ঘটনায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে। তারপরই তাঁকে ও তাঁর ১৩ জন সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে এনজিপি থানার পুলিশ।
সম্প্রতি ‘সারদা ও নারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত’ শুভেন্দু সহ একাধিক নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে আরও বেশি উদ্যমী ঘাসফুল-শিবির। যেসব নেতাদের কার্যকলাপের কারণে বদনাম হচ্ছে দলের, তাঁদের ছেঁটে ফেলাই লক্ষ্য, বলছেন শাসকদলের ঘনিষ্ঠমহল। সেই সুরেই রঞ্জন সরকার বলেন, ‘হিংসাত্মক কার্যকলাপ কোনওভাবেই পছন্দ করে না দল। আজ থেকে ওঁর সঙ্গে আর দলের কোনও সম্পর্ক রইল না। দল থেকে বহিষ্কার করা হল প্রসেনজিত্ রায়কে।’ গৌতম দেব সাফ জানান, ‘এনজেপির থেকে কোনও আর্থিক সহায়তায় আমাদের দল চলেনি। শুধু এনজেপি নয়, কোনও ইউনিট থেকেই কোনও টাকাপয়সা আমরা নিই না।’ জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিই এনজেপি এলাকায় শ্রমিক সংগঠনের কাজ দেখভাল করবে।
‘হিংসাত্মক কার্যকলাপ কোনওভাবেই পছন্দ করে না দল। আজ থেকে ওঁর সঙ্গে আর দলের কোনও সম্পর্ক রইল না’ তৃণমূল কংগ্রেসের দল থেকে বহিষ্কার করা হল দাপুটে নেতাকে
Related articles