এনবিটিভি ডেস্কঃ গত ডিসেম্বর মাসে হরিদ্বারে হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম নিধনের ডাকে ধর্ম সংসদের পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কখনও মুসলিমদের বিরুদ্ধে শপথ পাঠ, কখনও বা মসজিদের ভিতরে ঢুকে নামাজে বাধা প্রদান করা। আবার মুসলিমদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করা এমনও ঘৃণ্য কাজ করতে পিছুপা হচ্ছেনা হিন্দুত্ববাদীরা। এমনও আরও এক ঘৃণ্য ঘটনা ঘটলো কর্ণাটকের কোলার জেলায় এক সরকারী স্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষর নামাজ পড়ার অনুমতি থাকলেও এক হিন্দুত্ব বাহিনী পড়ুয়াদের নামাজে বাধা দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে স্কুলের ভিতরে মুলবাগল সরকারি কন্নড় মডেল উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা শুক্রবারের নামাজ পড়ার অনুমতি নিয়ে নামাজ পড়ে আসছিল। ২১ শে জানুয়ারিতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করে নামা পড়তে বাধা দিতে শুরু করে। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদের এই ভিডি ভাইরালের পরে জেলা কালেক্টর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এক সংবাদ প্রতিবেদন সূত্রে যানা যায় ওই স্কুলের শিক্ষিকা গিরিজেশ্বরী দেবী বলেন, স্কুলের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্র নিয়মিত নামাজ পড়ে থাকে। ওই স্কুলে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় ১৬৫ জন ছাত্র রয়েছে। যেখানে স্কুলের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭৫ জন। যদিও স্কুলের ঠিক পাশেই একটি মসজিদ আছে, সেখানে তাদের নামাজের জন্য যেতে কোন সমস্যা নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হবে বলে জানান।”
স্কুলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে যানা যায়, দীর্ঘদিন মহামারীর পরে স্কুলটি পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নএয় স্কুল। দুপুরের আহারের পরে কম সময় থাকার জন্য স্কুলের মধ্যে শুক্রবারের নামাজ আদায়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সাম্প্রতিক কর্ণাটকে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার অনুরূপ ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী গুন্ডারা মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের লক্ষ্যবস্তু করে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সমস্ত হিন্দুত্ববাদী গুন্ডাদের দ্বারা সৃষ্ট হট্টগোলের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই প্রশাসন তৎপর হয়। এরপর কর্ণাটকের কোলার জেলার ডেপুটি কমিশনার উমেশ কুমার ডেপুটি ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশনকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন বলে সূত্রে যানা যায়।