হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসের বলি আরো এক নিরীহ মুসলিম যুবক,গণপিটুনিতে প্রাণ গেল মুবারকের

নিউজ ডেস্ক : ভারতে হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো তাদের উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। তাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন বহু নিরীহ নিষ্পাপ মুসলিম। ২৭ বছর বয়সী মুবারককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে ১৭ জন গেরুয়া সন্ত্রাসী। পুলিশ এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।

ঝাড়খন্ডের সিরকা নামক গ্রামের সন্ত্রাসীদের হাতে অমানবিক নির্মম বর্বোরোচিত গণপিটুনিতে প্রাণ হারান ঝাড়খণ্ডের যুবক মুবারক খান। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি এলাকার অঙ্গারা এলাকায় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র করে মহেশপুর এলাকার বাসিন্দা মুবারককে পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে ফাঁসিয়ে তাকে বৈদ্যুতিক পোস্টের সঙ্গে বেঁধে হত্যা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রথমে মুবারককে ডেকে আনে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে বাইক চুরি করার চেষ্টার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বেধরক মারধর করে তাকে হত্যা করে সন্ত্রাসী দল। যদিও সন্ত্রাসীদের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে মৃত মুবারক তাদের বাইকের ব্যাটারি চুরির চেষ্টা করছিল, তবে স্থানীয়রা এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন।

ভারতে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিজেপি সমর্থিত হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের হাতে গণপিটুনিতে মুসলিমদের মৃত্যুর ঘটনা। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুসারে, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৯০ টির বেশি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে যাতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের বেশি মুসলিমের। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দোষী গেরুয়া সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক সমর্থন এবং প্রতিরক্ষা লাভ করে শাস্তির হাত থেকে বেঁচে যায়। এমনকি দাদরি গণপিটুনিতে অভিযুক্ত এক সন্ত্রাসী জেলে মারা গেলে তার মৃতদেহের ওপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জাতীয় পতাকা নিবেদন করেছিলেন। বিজেপির সমর্থনে এই সব সন্ত্রাসীদের জন্য টুইটার ট্রেন্ড চালানো হয়, কোথাও কোথাও তাদেরকে হিন্দু বীর এবং আইডল হিসেবে পূজা পর্যন্ত করা হয়। এক্ষেত্রে ও যে দোষী সন্ত্রাসীরা এক বিশেষ পরিচয়ের রাজনৈতিক দলের সাহায্য পাবেন সেটা খুব সহজেই অনুমেয়।

Latest articles

Related articles