
গোরক্ষপুর, ২রা মে, শুক্রবার: রেলের ওভারহেড তারে ঝুলন্ত অবস্থায় একটি মানব ভ্রূণের সন্ধান পেয়ে হতবাক গোটা এলাকা। স্থানীয়দের চোখে পড়ার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সাহজানওয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম-২ এর পিছনে কেশবপুর বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের কাছে মাটি থেকে প্রায় ২০ ফুট উঁচুতে এ দৃশ্য ধরা পড়ে। ভ্রূণটির অবস্থা দেখে আতঙ্কিত জনতা। প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—কে, কেন, কিভাবে এই ভ্রূণটি এভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভ্রূণটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। রেলওয়ের পার্শ্ববর্তী আবাসিক এলাকাগুলোতে চলছে তল্লাশি। পুলিশের অনুমান, আশেপাশের কোনো বাড়িতে গর্ভপাত বা ভ্রূণ হত্যার পর অপরাধ গোপন করতে এভাবে ওভারহেড তারে ফেলা হতে পারে।
“কখনও ভাবিনি এমন দৃশ্য দেখতে হবে! কে এই নিষ্ঠুর কাজ করল?”—বলেন এক দর্শক। অনেকেরই ধারণা, মানুষের দৃষ্টি এড়াতেই ভ্রূণটিকে এমন অস্বাভাবিক জায়গায় রাখা হয়েছে।
গোরক্ষপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র শ্রীবাস্তব জানান, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি। কাছাকাছি বাড়িগুলোতেও তদন্ত করছি। সম্ভবত রেলওয়ের পাশের কোনও বাড়ি থেকে ভ্রূণটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।”তিনি আরো বলেন “ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করতে ফরেনসিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ভ্রূণটির বয়স ও মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তে স্পষ্ট হবে।”
তদন্তের দিক:
- ভ্রূণটি কি প্রাকৃতিক কারণে মারা গিয়েছিল, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়েছে?
- কীভাবে ২০ ফুট উঁচু তারে ঝুলানো সম্ভব হল?
- স্থানীয় হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে কি?

এঘটনা গোরক্ষপুরে নতুন আলোড়ন তুলেছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষও চাইছে দ্রুত বিচার। এখন সকলের চোখ ময়নাতদন্ত রিপোর্টের দিকে।
এই নৃশংস ঘটনায় সমাজের অন্ধকার দিকটি আবারও উন্মোচিত হল। আশা করা যায়, তদন্তে দ্রুত স্বচ্ছতা আসবে এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি মিলবে।