নিউজ ডেস্ক : সাম্প্রদায়িকতা মোদির উত্থানের মূল কারণ। এটাই তার তথাকথিত ব্যাপক জনপ্রিয়তারও কারণ ধর্মীয় গোঁড়ামিতে ভরা ভারতে। এটা ভালো করেই জানেন গোধরা দাঙ্গার সময়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই জন্য প্রধানমন্ত্রী হলেও সাম্প্রদায়িকতার পাঠ তিনি কোনোদিনই ছেড়ে দেননি। শ্মশান, গোরস্থান মন্তব্য থেকে মুসলিমদের পোশাক নিয়ে টানাটানি করা সব করেন নির্দ্বিধায়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার পুরো মুসলিম সমাজকে আক্রমন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং এক সময়ের আরএসএস এর পোস্টার বয় নরেন্দ্র মোদী। পাকিস্তানের ঘটনায় তিনি দুমকার সভায় বলেন, পোশাক দেখলেই চেনা যায় দুষ্কৃতীদের। তিনি এই ঘটনার মাধ্যমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের যথার্থতা ও প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কিছুদিন আগে ১১ টি পাকিস্তানি অমুসলিম পরিবার ভারত থেকে আবার পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছেন আর্থিক অনটন এবং মোদি সরকারের অসহযোগিতার কারণে তখন কোথায় ছিল মোদীর মানবাধিকার প্রেম?
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রয়টার্সের তথ্য মতে ভারতে মোট ৯০ টির বেশী মব লিনচিং ঘটেছে এবং তাতে ২৪ জন মুসলিমকে হত্যা করেছে গেরুয়া সন্ত্রাসবাদীরা যাদের পিছনে প্রত্যক্ষ মদদ আছে মোদির দলের। মোদি আসার পর থেকে গেরুয়া উগ্রবাদীদের হামলায় ধ্বংস এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতের অসংখ্য মসজিদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে এখন প্রতি বছর ৬০০ এর বেশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার শিকার হতে হয় মুসলিমদের। এত কিছুর পরও কখনো নিজের দলের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে দেখা যায়না মোদিকে। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সেদেশের সংখ্যালঘুদের খোঁজ কোনোদিন না রাখলেও পাশের দেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ঘটা বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে তুলে ধরে মুসলিমদের পোশাক নিয়ে টানাটানি করা মোদির আদি সাম্প্রদায়িক চেহারাকে প্রকাশ করে বলে মনে করছে ওয়াকীবহাল মহল।