চিত্তরঞ্জন থানার সামনে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের তুমুল সংঘর্ষ

এনবিটিভি ডিজিট্যাল ডেস্ক: বারাবনি বিধান সভার অন্তর্গত চিত্তরঞ্জন থানার ফতেপুর এর বাসিন্দা দুই পরিবারের ঝগড়া রাজনৈতিক রূপ নেয়।জানা যায় বৃহস্পতিবার রাতে ফতেপুর এর 46 ও 47 নম্বর রাস্তার একটি বাসিন্দা কবিতা মন্ডলের উপর হামলা চালায় তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতীরা। ওই মহিলার অভিযোগ তার স্বামী বিজেপি করে বলে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা তার বাড়িতে হামলা চালায় ও বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয় এছাড়া তাকে মাথায় আঘাত করা হয় ।যার ফলে চিত্তরঞ্জন থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে ওই হামলা কারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে।
চিত্তরঞ্জন বিজেপির অফজারবার মনীশ ঝা জানান বিজেপির এক কর্মী যে ফতেপুর এর সাত নম্বর বুথের ইনচার্জ ছিলেন যাকে তৃণমূলের কিছু দুস্কৃতি ওর বাড়ি গিয়ে হামলা চালায় ও তার স্ত্রীর মাথা ফাটায় যার ফলে আজ আমাদের চিত্তরঞ্জন বিজেপির পক্ষ থেকে চিত্তরঞ্জন থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
যদিও চিত্তরঞ্জন থানার পক্ষ থেকে প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে কিন্তু পরে অভিযোগ নেওয়া হয়। আমাদের দাবি যে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। যার জন্য আজ আমরা সকলে মিলে চিত্তরঞ্জন থানায় লিখিত অভিযোগ করি ।

কিন্তু অপর দিকে আবার তৃণমূলের তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হয় যে এটি একটি পারিবারিক ঝামেলা ছিল কিন্তু যেটিকে বিজেপির কর্মীরা রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। যার কারনে আজ আমাদের তৃণমূলের পক্ষ থেকেও ওই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ।এদিন চিত্তরঞ্জন তৃণমূল এর ব্লক সভাপতি তাপস ব্যানার্জী জানিয়েছেন যে ফতেপুর এর বাসিন্দা 62 বছর বয়সি মুন্না দেবী ও ওই স্থানের ওই এক মহিলা কবিতা মন্ডলের কোন কারন বশত নিজেদের মধ্যে ঝগড়াবাঁধে , কিন্তু বিজেপির কর্মীরা ওই পারিবারিক ঝামেলা কে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওদের নিজস্ব ঝামেলার পর কিশোর খাড়ার নামের এক বিজেপির দুস্কৃতি যে 62 বছর বয়সী মহিলা মুন্নাদেবী ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায় যার ফলে ওই মহিলাকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করাহয়। আর তাই গতকাল রাতে চিত্তরঞ্জন থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয় কিন্তু ওই দোষিকে ধরার দাবিতে চিত্তরঞ্জন থানায় বিক্ষোভ দেখায়।
কিন্তু একই সময় বিজেপি ও তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদে চিত্তরঞ্জন থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো কে ঘিরে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের রূপ নেয় ।কিন্তু চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ অতন্দ্র নাথ ও তার দলবল ওই দু দলের ঝামালার সামাল দেয় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অবশেষে বিজেপির দুস্কৃতি কে আটক করা হলে তৃণমূলের সমর্থকরা থানার সামনে থেকে বিক্ষোভ তুলে নেন।

Latest articles

Related articles