নিউজ ডেস্ক : মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক ক্ষেত্রে ভারতবর্ষ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে। এবার ভারত তাম্র উৎপাদনে ও অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল নিজের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের তুলনায়। ভারত তিন বছর আগে পর্যন্ত একটি তাম্র রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০১৮-১৯ থেকেই ভারত তাম্র আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে পাকিস্তানের তাম্র রপ্তানির পরিমাণ।
ভারত ২০১৭-১৮ সালে তামা আমদানি করে প্রায় ৪৪ হাজার টন, যা পরের বছর গিয়ে পৌঁছায় ৯২ হাজার টনে। অন্য দিকে ভারত ২০১৭-১৮ তে তামা রপ্তানি করে প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার টন যা তার ঠিক পরের বছর গিয়ে পৌঁছয় মাত্র ৪২ হাজার টনে। ফলে ভারত তামা রপ্তানিকারক দেশ থেকে এক বছরের মধ্যেই পরিণত হয় তামা আমদানিকারক একটি দেশে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন পরিবেশগত কারণ দেখিয়ে ভারতের সর্ববৃহৎ বেদান্ত তাম্র উৎপাদক অঞ্চলটি বন্ধ করে দেয়ার ফলে ভারতের তাম্র রপ্তানিতে এই ব্যাপক হ্রাস দেখা গেছে। বেদান্ত তাম্র খনিটি অদূর ভবিষ্যতে আবার চালু করা হবে কিনা এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে।
ভারত আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন দেশের কাছে তামা রপ্তানি করে এসেছে যার মধ্যে সবথেকে বড় গ্রহীতা ছিল চীন। তবে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে চীনে ভারতের রপ্তানি ৫.২% থেকে ০.৬% এসে পৌঁছায়। একই সময়ে তিনি পাকিস্তানের রপ্তানি করা তামার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় সাড়ে ৩ গুণেরও বেশি। বিদেশ থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ তামা আমদানি করার ফলে ভারতবর্ষের প্রতি বছর দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করতে হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।