নিউজ ডেস্ক : তবে কি তৃণমূলে ফিরছেন মুকুল রায়? শুক্রবার বিধায়ক হিসাবে শপথগ্রহণের পর তাঁর গতিবিধিতে ফের একবার উঠছে সেই প্রশ্ন। এদিন শপথগ্রহণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেও কোনও কথা বলেননি তিনি। যার ফলে নতুন জোর পেয়েছে তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা। যোগ দেননি তৃণমূল কংগ্রেসের কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজেপির ধর্না কর্মসূচিতে। যোগ দেননি বিজেপির পরিষদীয় বৈঠকেও।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন মুকুল। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে নিজে ভোটে জিতলেও ছেলে শুভ্রাংশু হেরেছেন বীজপুর থেকে। তবে ভোট যত গড়িয়েছে ততই সুর নরম হয়েছে মুকুলের। এর মধ্যে তৃণমূলনেত্রীর মুখে মুকুলের প্রশংসাও শোনা যায়। ভোটর ফলপ্রকাশের পর তাঁর নীরবতায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিন মিনিট কুড়ি বিধানসভায় ছিলেন মুকুল রায়। শপথ নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। বেরনোর পথে দেখা হয় তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সির সঙ্গে। সৌজন্য বিনিময় করেন একদা তৃণমূলের দুই মূল কাণ্ডারি। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘কিছু সময় নিরীহ থাকতে হয়, আজ আমি কিছু বলবো না। যা বলার সবাইকে ডেকে বলবো।’
বিজেপির অন্দরে মুকুল রায়কে বিরোধী দলনেতা করার দাবি উঠেছে। অনেকে আবার এর বিরোধিতা ও করছেন। দাবি উঠছে শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়েও। কিন্তু এব্যাপারে কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মুকুলকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পদ্মফুল ফোটেনি বাংলায়। মুকুলের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিভিন্ন আচরণে ক্ষুব্ধ মুকুল। তাছাড়া তাঁকে ভোটে লড়তে একপ্রকার বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠদের। এর ফলে গোটা রাজ্যে দলের সংগঠন দেখতে পারেননি তিনি। সেই জায়গায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সব মিলিয়ে মুকুল রায়ের মুখ খোলার অপেক্ষায় বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলও। এখন মুকুল রায় কি বলেন সেটাই এখন দেখার।