
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় বসা সম্ভব নয় বলে জানালেন ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তার বক্তব্য, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প যেভাবে ইরানের প্রতি লাগাতার হুমকি দিয়ে চলেছেন, তাতে আলোচনার টেবিলে বসা সম্ভব নয়। হুমকি আর আলোচনা পাশাপাশি চলা সম্ভব নয়।
এর আগে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি তেহরানের সঙ্গে চুক্তি করতে আন্তরিক। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে তিনি ইরানের ওপর যে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করেছিলেন—বিশ্ব অর্থনীতি থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করা ও তাদের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা—তা পুনর্বহালের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানকে সামলানোর দুটি উপায় আছে— তাদের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ অথবা পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে একটি চুক্তি করা।’

ইরান দীর্ঘদিন ধরেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে দেশটি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) সতর্ক করে বলেছে, অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন হয়। তাই এই মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি।
২০১৯ সাল থেকে ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছে। এর এক বছর পর ট্রাম্প ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু ট্রাম্পের দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ফলে, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরো অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।