এনবিটিভি ডেস্ক: ২০১৩ সালের এক আলোচিত আর্থিক কেলেঙ্কারি ছিল সারদা কান্ড। যার উদঘাটন ঘটে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে। আর এর আগেই ১.৭ মিলিয়ন এর চেয়েও বেশি আমানতকারীদের থেকে প্রায় ৪-৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছিলো। ২০১৩ সালের পর থেকে রাজনৈতিক মহলে এক চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই সারদা কান্ড।
অনেক সাধারণ মানুষ তাদের শেষ সম্বল জমা রাশি খুঁইয়ে প্রায় নিস্ব হয়।
সুদীর্ঘ দিন ধরেই মানুষ তার কোনো সুরাহা পাইনি। আজ হঠাৎই আবার
আমানতকারীদের নায্য টাকার দাবিতে আন্দোলন করতে দেখা যায় মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে। অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারাস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন পক্ষ থেকে এই পথ সভার আয়োজন করা হয়। ইলমবাজার থেকে মিছিল এর মাধ্যমে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই পথসভায় কয়েকশো মানুষের জমায়েতে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল হয়।
মূলত কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারকে নিকট তাদের প্রাপ্ত ও ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে তাদের এই আন্দোলন। এই সভায় উপস্থিত ইসলামপুর থানা কমিটির সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, মূলত দিল্লির কৃষক আন্দোলনের মত দুঃসাহসিক অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের এই আন্দোলন। তিনি আরো বলেন, যদি এতে কোনরকম সুরাহা না মেলে তাহলে তারা আগামীতে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন।
উল্লেখ্য সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে প্রথমে রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল বা এস আই টি গঠন করে দোষীদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য। কিন্তু বিরোধী দলগুলো বার বার সিবিআই তদন্তের দাবী জানায় তৃণমূল সরকারের উচ্চপদস্থ নেতা মন্ত্রীদের এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে করে। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তে উঠে আসে বেশ কিছু নেতা মন্ত্রীর নাম। মদন মিত্র মুকুল রায় সহ অনেক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের সিবিআই অফিসে ডেকে জেরা করা হয়। বিজেপি সহ সব বিরোধী দল গুলো মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে। কিন্তু পরবর্তীতে সেই বিজেপি এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত মুকুল রায় সহ বেশ কিছু ব্যাক্তিকে দলে ভিড়িয়ে নেয়। এই কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক জল খুব ঘোলা হলেও এখনও পর্যন্ত না প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পেয়েছে আর না ক্ষতিগ্রস্তরা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।