নিউজ ডেস্ক : সংসদে যখন কোন বিষয়ে আলোচনা করা হয় স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিপক্ষ শিবির থেকে হই হট্টগোলএ তোলা এক নিত্য ঘটনায় দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই যখন বিরোধী দলীয় নেতা নেত্রীরা সরকারের সমালোচনা করে তাদের আওয়াজকে বর্তমানে ভারতীয় টিভি চ্যানেল গুলোতে যেভাবে বিরোধীদের আওয়াজ চেপে দেয়া হয় সেই ভাবে চেপে দেওয়ার জন্য হইহট্টগোল শুরু করেন বিজেপির সাংসদরা। আবার মাঝে মাঝে এর উল্টো প্রতিচ্ছবিও দেখা যায়। যখন সরকারের কোনো মন্ত্রী কথা বলেন সেই সময় তাদের বক্তৃতায় মিথ্যা এবং অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে সরব হন বিরোধী নেতা নেত্রীরা।
আজ ঠিক এমনই ঘটনা ঘটছিল সংসদে। সংসদে রাষ্ট্রপতির জবাবী ভাষণের আলোচনায়, দেশজুড়ে বর্তমানে চলমান কৃষকদের আন্দোলনকে মোদী তার ভাষণে কংগ্রেস এবং বামদল গুলির রং করা আন্দোলন বলে প্রচার মন্তব্য করলে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এর প্রতিবাদ করেন। অধীরের প্রতিবাদে চরমভাবে বিব্রত এবং বিরক্ত বোধ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার আলোচনার সময় মোদিকে এইভাবে বাধা দেওয়ার জন্য এক প্রকার বেনজির ভাবে ধমকের সুরে তাকে বলেন, “অনেক হয়েছে আপনি সীমা ছাড়াবেন না।”
অধীরের প্রতি মোদির এই ধমকের সুর একেবারেই পছন্দ হয়নি কংগ্রেস সাংসদদের। এবারে তাঁরা আরও সুর চড়ান। রীতিমতো হইচই শুরু হয় লোকসভায়। আরও রেগে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন,”এই বাধা দেওয়ার চেষ্টা, এই হট্টগোল, সবটাই একটা সুপরিকল্পিত রণকৌশল। আর সেই রণকৌশল হল সত্যিটা লুকিয়ে রাখার। ওঁরা যে বিভ্রান্তি কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়েছে, তার সত্যিটা যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেটা নিশ্চিত করার রণকৌশল।” তারপর ওয়াক আউট করেন কংগ্রেস সাংসদরা।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এমন ধমক গণতন্ত্রের রাজধানী সংসদের এর আগে কোনদিন দেখা যায়নি। আজ মোদির এমন ব্যবহারের পর বিরোধী অনেকেই বলছেন সরকারের মুখে এখন শুধু একনায়কতন্ত্রের ডিকশনারির শব্দগুলি পাওয়া যায়। আজ মোদির মুখেও ঠিক তেমনি কিছু পাওয়া গেল।