এনবিটিভি ডেস্কঃ সারা দেশ জুড়ে দীর্ঘ এক বছর আন্দোলনের পর গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনটি কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিল করার ঘোষণা করেন।ঠিক একদিন পরেই আজ শনিবার জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি বলেন,“সংশোধনী নাগরিকত্ব আইনটিও বাতিল করতে হবে,অন্যথায় এর খেসারত মুসলিম সম্প্রদায়কে ভোগ করতে হবে।”
আজ সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারের সময় মাওলানা আরশাদ মাদানি বলেন, “এটা অনস্বীকার্য যে, তিনটি কৃষি আইন বাতিল করা হয়েছে কারণ নির্বাচন কাছাকাছি। আমরা মনে করি যে, সিএএ-এনআরসি সবই জাতীয়তার সাথে সম্পর্কিত, এর ক্ষতি বহন করতে হবে মুসলমানদেরই । জনসাধারণের শক্তি সবচেয়ে শক্তিশালী,তাই সিএএ-আইনটিও বাতিল করা উচিত।”
মাওলানা আরশাদ মাদানি কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,কৃষকগন তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন এবং সফলও হয়েছেন। একইভাবে, আমরা চাই সরকার সেই আইনটি ফিরিয়ে আনুক যা মুসলমানদের ক্ষতি করতে চলেছে। তারাও অন্যদের মতোই ভারতের নাগরিক। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকারের উচিত,একইভাবে অনুভব করা।”
২০২০ সালে তিনটি কৃষি আইন পাস হওয়ার পর থেকেই কৃষকরা কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদ করে আসছিলেন।একইভাবে, সিএএ–র বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।
সিএএ– আইনটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার অনুমতি দেয়।
আইনের বিধান অনুসারে, উল্লেখিত তিনটি দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আসা এই সম্প্রদায়ের লোকদেরকে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে গণ্য করা হবে না, তবে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
যদি কোন ব্যক্তি এই তিনটি দেশের উপরোক্ত ধর্মের অনুসারী হন, পিতামাতার জন্মের প্রমাণ না থাকে, তারা ভারতে ছয় বছর বসবাসের পরে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।
উল্লেখ্য,রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ২০১৯ সালের১২ ডিসেম্বর আইনটিতে সম্মতি দিয়েছিলেন। যদিও এই আইনটি বাস্তবায়ন শুরু করেনি সরকার। এই আইনকে রুখতে মহিলাদের আন্দোলন চোখে পড়ার মতো। দিল্লীর শাহিন বাগ থেকে কলকাতার মাটিতে মহিলাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।