বিচারপতিরা কখনো ঈশ্বর হতে পারেন না। আর বিচারালয় কখনো মন্দির হতে পারে না। কোনো বিচারপতি যদি নিজেকে ঈশ্বর ভেবে নেন, তবে ঘোর বিপদ বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়
শনিবার কলকাতায় পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘একজন বিচারপতির মধ্যে ঐশ্বরিক গুণ নয়; দরদ, সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মতো মানবিক গুণ থাকা প্রয়োজন।’
কলকাতা হাইকোর্টের বার লাইব্রেরির দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধান বিচারপতি কলকাতায় এসে গত শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। গতকাল যোগ দেন কলকাতার ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভায়।
তিনি বলেন, ‘বিচারপতিদের অধিকাংশ সময় লর্ডশিপ, অনার বা লেডিশিপ বলে সম্বোধন করা হয়। কিন্তু মানুষ যদি বিচারালয়কে ন্যায়ের মন্দির ভেবে নেন, তাহলে ঘোর বিপদ! আর আমরা বিচারপতিরা নিজেদের যদি ওই মন্দিরের দেবতা ভেবে নিই, তাহলেও ঘোর বিপদ!’
বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরও বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে সুবিচার পেলে অনেকেই বিচারালয়কে মন্দির মনে করতে পারেন। কেউ মনে করতে পারেন, বিচারপতিরা ঈশ্বরের মূর্ত প্রতীক। আমি বরং বলব, বিচারপতিদের উচিত নিজেদের “জনগণের সেবক” হিসেবে ভাবা। আর তাঁরা যদি ভাবতে পারেন তাঁরা মানুষের সেবা করছেন, তাহলে দেখবেন, বিচারপতিদের ভাবমূর্তিতে দয়া, সহমর্মিতা, সহানুভূতির মতো ভাবনার প্রতিফলন ঘটবে। আর একমাত্র তাহলেই একজন বিচারক বিচার করবেন কোনো পূর্ব ধারণার বশবর্তী না হয়ে।’
আইনজীবীদের পেশাদারিত্ব বাড়ানোর জন্য বলেন, ‘জুনিয়রদের জায়গা দিতে হবে।’ নারীদের আরও বেশি করে আইন পেশায় যুক্ত করারও পরামর্শ দেন।