
সাধারণত বিচারপতির বিদায় উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে। কিন্তু এবার কোনো আনুষ্ঠানিক বিদায় অনুষ্ঠান হয়নি। এতে প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড় প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানান।
বিচারপতি হিসাবে কর্মজীবনের শেষ দিনে জাস্টিস ত্রিবেদীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল।
বিচারপতি ত্রিবেদীর তার কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠলেও, তার প্রমাণ মেলেনি। তিনি ২০২২ সালে গরিবদের জন্য ১০% সংরক্ষণ বৈধ ঘোষণা ও তফসিলি জাতির মধ্যে উপবিভাগ করা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেন।
অন্যদিকে গুজরাট সরকারের আইন সচিব হিসেবে নরেন্দ্র মোদির অধীনে তার ভূমিকা, রাজস্থান হাইকোর্টে বদলি এবং ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ—সবই বিজেপির শাসনামলে ঘটেছে। এই সংযোগের কারণে তাকে বিজেপির অনুকূল বিচারক হিসেবে চিহ্নিতও করা হয়।
গুজরাটের পাটানে জন্ম নেওয়া বিচারপতি ত্রিবেদীর বিচারিক কর্মজীবনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। ২০২১ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আসীন হন। তবে জানা গিয়েছে পারিবারিক কারণের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই অবসর নেন বিচারপতি বেলা এম. ত্রিবেদী।