কসবা থানার পোশাক ফতোয়া বিতর্কে এক কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ। জানা গিয়েছে, যাদবপুর ডিভিশনের ডিসি অফিসে এই দু’জনকে তলব করা হয়েছে। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব। সেই রিপোর্টের ওপর ঝুলে ওই দুই জনের ভাগ্য।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই দুই যুবক ক্যাজুয়াল পোশাকে থানায় যাওয়ায় অভিযোগ না নিয়েই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। থানার ড্রেস কোড নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় কলকাতা পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে অভিযোগকারীর পোশাক নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়। বাড়ি সংলগ্ন মন্দিরে চুরি হওয়ায় থানায় অভিযোগ জানাতে যান ওই দুই যুবক।
পরে যদিও পোশাক বদলে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
থানায় কোনও পোশাক-বিধি রয়েছে কিনা কলকাতা পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে জানতে চান সেই যুবক। অফিসে কী পরে যান, পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়। কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) রশিদ মুনির খান জানিয়েছেন, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রাজপুর-সোনারপুরেও একইভাবে পোশাক বিতর্ক উঠেছিল। বিতর্ক এড়াতে চলতি মাসেই পোশাক ফতোয়া জারি করে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা। পুরসভার বাইরে একটি নোটিস টাঙানো হয়। পুরসভার রাজপুর দফতরে নোটিস দেওয়া হয়েছে, অশোভন বা দৃষ্টিকটূ পোশাক পরে পুরসভায় প্রবেশ করা যাবে না। নোটিসের নীচে কোনও আধিকারিকের সই নেই। যদিও এই নোটিস প্রসঙ্গে পুর প্রশাসকের দাবি, পুরসভার তরফেই ওই নোটিস দেওয়া হয়েছে।