হাফিজুর রহমান, অতিথি সম্পাদক
লেখার ক্যাপশন দেখে অবাক হচ্ছেন! অবাক হওয়াই স্বাভাবিক। কারণ কংগ্রেস আর ইন্ডিয়া জোটআলাদা নয় তবে এরকম শীর্ষক কেনো? আপনারা যারা সিরিয়াস ভাবে রাজনৈতিক ব্যাপার স্যাপার ফলো করেন তারা হয়ত নীতীশ কুমার এর উষ্মার কারণ জানেন। যারা জানেননা তাদের জানাই, নীতীশের কথা ৫ রাজ্যের ভোট নিয়ে ব্যস্ত, ইন্ডিয়া জোটের জন্য সময় নেই বড় জোট শরিক কংগ্রেসের। নীতিশ ভুল বলেননি, ওর মত না বললেও ইন্ডিয়া জোটের বাকি শরিকেরা বিরক্ত এতে সন্দেহ নেই। কাল ফল বেরিয়েছে কংগ্রেসের হাতে পেনসিল।
আসুন পোস্টমর্টেম করি পরাজয়ের। প্রথমে রাজস্থান। ভোটের আগে রাহুল, অশোক গেহলট আর শচীন পাইলট এর সহাস্যে ফোটো তোলা হলেও তলায় আন্ডার কারেন্ট ছিল। অশোক, শচীন দুজন দুজনকে টাইট দিতে গিয়ে দলের ভরাডুবির কারণ হলেন। এই কালিদাসদের জন্য বিজেপিকে আর বেশী কষ্ট করতে হয়নি। বসুন্ধরাকে এক পাশে ঠেলে দেওয়া সত্ত্বেও জিতে গেল শাসক দল। দ্বিতীয় কারণ হলো পেটোয়া ধামাধরাদের টিকিট দেওয়া। ফল কি হলো চোখের সামনে। মধ্যপ্রদেশেও একই গল্প। কমলনাথের ঔদ্ধত্য অখিলেশ যাদব কে? প্রশ্ন তোলা। এককথায় ওভার কনফিডেন্স ডোবাল মধ্যপ্রদেশকে। জেতা বাজি হাত ছাড়া হয়ে গেল। ছত্রিশগড়ে হারের জন্য বাঘেলজী দায়ী নয়। দায়ী এমএলএ-দের ঔদ্ধত্য। সেখানে স্লোগান ছিল বাঘেল তুঝসে বৈর নহী, বাকি সব কা খইর নেহি। আর ভোটের সপ্তাহ খানেক আগে শাসক দলের একজনকে সাজিয়ে দুবাই থেকে বাঘেলের কাছে ৫০৮ কোটি টাকা এসেছে বলে একটি সাজানো গল্প প্ল্যান্ট করা হলো।
মহাদেব অ্যাপ গল্প হলেও ভোটে প্রভাব পড়ল তার পর কি হলো আমরা জানি। ভোট জেতার জন্য হনুর দল এত নীচে নামতে পারে কেউ ভাবেনি। There is nothing unfair in love and war বিজেপি ভাবছে জিতে গেল, জিত নয় অতি উৎসাহে পেছনে বংশ দণ্ড নিল। কি ভাবে? বলছি। হার অভিশাপ নয় আশীর্বাদ হয়ে এলো। এর ফলে বড় দল হিসেবে কংগ্রেস বুঝবে এবং জোট ধর্ম পালন করবে। মমতা, নীতীশ, অখিলেশ, তেজস্বী, শিবু সবাই এককাট্টা হয়ে অন টু অন ফর্মুলায় লড়তে বাধ্য হবে। না হলে কি হবে এই নির্বাচনে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
কাজেই সব ভুলে এক হয়ে INDIA কে জেতানোর জন্য সবাই এক হবে। না হলে ভবিষ্যতে নির্বাচনের কথা ভুলে যেতে হবে।