বিয়ের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের শারীরিক সম্পর্কে ধর্ষণ নয়: দিল্লি আদালত

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20201218-WA0026

এনবিটিভি ডেস্ক: সম্পর্ক থাকাকালীন প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে শারীরিক সঙ্গম হওয়াটা আজকাল যেনো ফ্যাশন এ পরিনত হয়েছে। কেউবা পরবর্তীকালে বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ করবে এই আশায় প্রেমিক প্রেমিকার সঙ্গে কামের খেলায় মেতে ওঠে। আবার তার ব্যাতিক্রম ও তেমনই থেকে থাকে।দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে এবং অবশেষে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে তাহলে সেটাকে কি ধর্ষণ বলা যায়? এটাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়।বৃহস্পিবার দিল্লি আদালতে একটি ধর্ষণ মামলায় ঠিক এই প্রশ্নটাই হয়ে দাঁড়ায় মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই ধর্ষনের মামলায় অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, মূলত তিন চার মাস যাবৎ শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অভিযুক্ত। তিনি আরো জানান, তারা দুজনে পালিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখাযায় তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল। ইতিমধ্যেই ঘটনায় অভিযুক্ত অন্য একজনের সঙ্গে পালিয়ে যায়।অভিযোগকারিণীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি চলাকালীন দিল্লি হাইকোর্ট এটিকে ধর্ষণ বলে সম্মতি দেননি।আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‌দীর্ঘ এবং অনির্দিষ্টকাল ধরে বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব নয়।’‌ বিচারক বিভু বাখড়ু বলেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়াতে অনেকই সময়েই শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘকালের ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে এই তর্ক প্রযোজ্য নয়। আদালতের বক্তব্য, ‘‌ইচ্ছে না থাকলেও অনেকসময়ে শারীরিক সম্পর্কে যেতে রাজি হন অনেকে। বিশেষ মুহূর্তে আবার সম্মতি মিলেও যায়, তবে চাইলে না বলতেই পারেন কেউ।’‌এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ঘটনায় অনুমতি–ভঙ্গ হলে তা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী অবশ্যই ধর্ষণ। কিন্তু এক্ষেত্রে ওই শারীরিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এটা স্পষ্ট, ওই মহিলা নিজের ইচ্ছেয় শারীরিক সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন। আর বিয়ের প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে সম্মতি চাওয়া হয়নি। বিয়ে সংক্রান্ত যা কথা হয়েছে, তা পরে। তাই অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর