প্রজাতন্ত্র দিবসে অযোধ্যায় শুরু বাবরির থেকে বড়ো মসজিদের নির্মাণ, থাকবে মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল

সাইফুল্লা লাস্কর : প্রজাতন্ত্র দিবসে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের পরিবর্তে দেওয়া জমিতে তৈরি হতে যাওয়া মসজিদের। মসজিদের সঙ্গে থাকবে একটি বিশাল মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল এবং একটি কমিউনিটি কিচেন। ধন্নিপুরে ৫ একর জমির ওপর তৈরি হবে এই মসজিদ এবং আনুষঙ্গিক স্থাপনা।

সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফ থেকে আতহার হোসেনের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে ৬ সদস্যের একটি ট্রাস্ট। ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন নামের এই ট্রাস্ট মসজিদ নির্মাণের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। আতহার হোসেন বলেন, “সাত দশক আগে ২৬ সে জনুয়ারী তেই আমাদের সংবিধান কার্যকরী হয়েছিল সেই জন্য আমরা এই দিনটিকে বেছে নিয়েছি। আমাদের সংবিধানের ভিত্তি বৈচিত্র আর আমাদের মসজিদ তৈরির পিছনে মূল উদ্দেশ্য ওই বৈচিত্র্য কে এগিয়ে নেওয়া।”

হোসেনের কথা মতে, অযোধ্যায় ওই ৫ একর জায়গায় তৈরি হবে বাবরি মসজিদের তুলনায় বৃহদাকার একটি মসজিদ যেটাতে এক সময়ে ২০০০ নামাযী নামায আদায় করতে পারবে। এই মসজিদ বাবরি মসজিদের মতো দেখতে হবে না, এটা দেখতে গোলাকার হবে। এই নির্মাণের কেন্দ্রে থাকবে একটি ৩০০ শয্যার ফ্রী মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল যেখানে অসুস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হবে। তাছাড়াও থাকবে একটি কমিউনিটি কিচেন যেখানে দুই বেলা খাবার দেওয়া হবে দুস্থ মানুষদের। থাকবে একটি গ্রন্থাগার ও।

ট্রাস্টের পরিকল্পনায় সেখানে একটি নার্সিং এবং প্যারামেডিকেল কলেজ তৈরির বিষয়টি আছে বলেও জানা গিয়েছে যার ফলে পরবর্তীতে হসপিটালের জন্য মানবসম্পদ সরবরাহ করা যাবে স্থানীয়ভাবে। তবে সব কিছু আপাতত প্রারম্ভিক অবস্থায় আছে। সমস্ত স্থাপনার জন্য কর্পোরেট ফান্ডিং এর প্রয়োজন হবে বলে জানান আতহার। প্রথমে দেশের অভ্যন্তরে মুসলিমদের দের থেকে এবং পরবর্তীতে বিদেশে বসবাসকারী মুসলিমদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য ১৯৯২ সালের ৬ ই নভেম্বর উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী কর সেবকদের হাতে তৎকালীন কেন্দ্রের কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদ। গত বছর ৯ ই নভেম্বর একে বেনজীর এবং অদ্ভুত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদের স্থানে “সংখ্যাগুরুদের ভাবাবেগকে” বিবেচনা করে রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলে। সংখ্যালঘুদের ভাবাবেগকে উপেক্ষা করে সংখ্যাগুরুদের ভাবাবেগকে বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্ট মুসলিমদের স্থাপত্য ধ্বংস করে সেখানে রাম মন্দির নির্মাণ করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে বলে কিন্তু মুসলিমদের জন্য দিতে বলা হয় ৫ একর জায়গা যেখানে মুসলিমরা নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করবে মসজিদ।

Latest articles

Related articles