নিউজ ডেস্ক : পেট্রোলের দাম ইতিমধ্যে ১০০ ছাড়িয়েছে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়, যা ভারতের ইতিহাসে বেনজির। পাল্লা দিয়ে ডিজেলের দামও পৌঁছেছে সর্বোচ্চ স্তরে। তার থেকে বড় আঘাত নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের কাছে তিন দফায় সিলিন্ডার এলপিজি গ্যাসের দাম ১০০ টাকা বৃদ্ধি। তবে এখনও বাকি ছিল সদ্য করোনা এবং লকডাউন এর ধাক্কায় বেসামাল সাধারণ মানুষের আর্থিক দুর্দশার। তাই এবার বাড়তে চলেছে দুধের দামও। এক জনপ্রিয় সর্বভারতীয় পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে মার্চের ১ তারিখ থেকে দুধের দাম এক ধাক্কায় ১২ টাকা বৃদ্ধি পেতে চলেছে।
দুধের দাম বর্তমানে বাজারে প্রতি লিটার ৪৩ টাকা থেকে মার্চের প্রথম দিন থেকে পৌঁছাবে প্রতি লিটার ৫৫ টাকায়। আর খবরটি জানানো হয়েছে রটলাম মিল্ক প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে। তারা জানিয়েছেন বর্তমানে পেট্রোল ডিজেল এবং এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির পর বাজারে সমস্ত জিনিস মূল্যবৃদ্ধির শিকার হচ্ছে। ফলে আমাদের দুধের দাম বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। যদি দুধের দাম বৃদ্ধি সরকার প্রতিরোধ করতে চায় তাহলে আমরা দুধের সরবরাহ বন্ধ করে দেব।
সংস্থাটির সভাপতি হীরালাল চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমানে পেট্রোল এবং ডিজেলের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে আমাদের পরিবহন খরচ বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে গবাদি পশুদের খাওয়ানোর খরচও। তাই বহুদিন পূর্বে নির্ধারিত মূল্যে আর আমাদের ব্যবসা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা আমাদের সমস্ত সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। সরকার অন্য সমস্ত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারলে এই বিষয়ে তাদের মূল্য বৃদ্ধিতে কোন অসুবিধা তৈরি করবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে সমস্ত কিছুর এই মূল্যবৃদ্ধির পরে ভারতের আপামর জনসাধারণের ওপর যে ব্যাপক পরিমাণ আর্থিক চাপ আসতে চলেছে তা কিভাবে ভারতের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলে সেটাই এখন দেখার।