নিউজ ডেস্ক : আবারো এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়াল মোদি সরকার। এই নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে তৃতীয় বার ভর্তুকি বিহীন এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি পেল। গত দুই সপ্তাহে তিনবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ৮২০ টাকা ৫০ পয়সায়। কয়েক সপ্তাহ আগেই এভাবে মোদি সরকার দুই দফায় ৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিল এলপিজি এর দাম। আর এবার দেশব্যাপী নানা সমস্যার মাঝে মধ্যরাতে তিন দফায় মোট ১০০ টাকা দাম আবার বৃদ্ধি পেল। ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী পেট্রোপণ্যের মূল্য গগনচুম্বী। মধ্যপ্রদেশ ও মুম্বাই এ ইতিমধ্যেই পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা পার করেছে। সমানতালে এগিয়ে চলেছে ডিজেলের দাম ও।
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি এখন নিয়ম করে মাসের শুরুর দিকেই রান্নার গ্যাসের দাম পর্যালোচনা করে। প্রতি মাসের শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয় সিলিন্ডারের নতুন দাম। তবে এ মাসে এই নিয়ে তিনবার মূল্যবৃদ্ধি হল। এর আগে ৪ এবং ১৫ তারিখ একইভাবে বেড়েছিল গ্যাসের দাম। গত মাস পর্যন্ত ৭২০ টাকা ৫০ পয়সা দিয়ে রান্নার গ্যাস কিনতে হত আমজনতাকে। যেহেতু পেট্রল ও ডিজেলের দাম গত কয়েক দিন ধরে লাফিয়ে বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। কারণ রান্নার গ্যাস (LPG) তৈরি হয় অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম থেকেই। জ্বালানির দাম এভাবে লাগাতার বাড়তে থাকায় নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। একে করোনার জেরে বেহাল দশা অর্থনীতির, রুটি-রুজি হারিয়ে বহু মানুষ বেকার। তার উপর রান্নার গ্যাসের দাম ৮০০ পেরিয়ে যাওয়াটা মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতোই।
পৃথিবীর অন্য সমস্ত দেশের তুলনায় ভারতবর্ষের মোদি সরকারের দ্বারা পেট্রোপণ্য এবং জ্বালানি গুলির উপর আরোপিত শুল্কের পরিমান বহুগুণ বেশি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দালাল মিডিয়ার সৌজন্যে ভারতের সাধারণ মানুষ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রকৃত কারণ সম্পর্কে অবগত নন। কংগ্রেসের জামানায় আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম ১০৮ ডলার থেকে বর্তমানে ৫০ ডলারে পৌঁছালেও ভারতবর্ষের বাজারে পেট্রোলের দাম ৬০ টাকা থেকে বর্তমানে সেঞ্চুরি পার করেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে মোদি সরকার পেট্রোপণ্যের উপর ২৬০ শতাংশ কর আরোপ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ তামিলনাড়ু আসাম পন্ডিচেরি কেরালা সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্ব প্রেক্ষাপটেই মূল্যবৃদ্ধি নির্বাচনের ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলে কিনা তা নির্ভর করবে রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের সমস্ত গণমাধ্যম কিভাবে বিষয়টিকে জনসাধারণের সম্মুখে উপস্থাপন করে।
তবে বর্তমানে এই মূল্যবৃদ্ধি পূর্বের মতো আর মানুষের নজরে সাধারণ বিষয় বলে পরিগণিত হচ্ছে না, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। নেট নাগরিকরা এবার হয়তো বুঝে ফেলেছেন জয় শ্রীরাম বা ভারত মাতা কি জয় ধ্বনি থেকে তথাকথিত ভাবে পাকিস্তান বা চীনের যতটা ক্ষতি হয় তার থেকে বেশি ক্ষতি মোদি সরকারের পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নিজেদেরই হয়।