নিউজ ডেস্ক : পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সরকারি প্রকল্প বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের রায় জানতে চায়। তবে কেন্দ্রের রায় অনেককে অবাক করার মতো। কেন্দ্র সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ প্রকল্প বন্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল। সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের জন্য সরকারের বিশেষ জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি বন্ধের দাবিতে শীর্ষ আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন ৬ ব্যক্তি। তাঁদের দাবি ছিল, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও কল্যাণমূলক প্রকল্প থাকা উচিত নয়। এতে অন্য সম্প্রদায়ের (পড়ুন হিন্দুদের) মানুষকে বঞ্চিত করা হয়। যার জবাবে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিল, এমন সংখ্যালঘু নির্দিষ্ট প্রকল্পগুলো বৈষম্য দূরীকরণের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে সাফ এই পিলের বিরোধীতা করে প্রকল্পগুলো চালানোর পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক প্রকল্পগুলি চালু রাখার স্বপক্ষে কেন্দ্রের যুক্তি, এই প্রকল্পগুলি বিবিধের মাঝে মিলনের আদর্শই তুলে ধরে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকেই আর্থিক ভাবে অনগ্রসর। তাঁদের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া শিশু, মহিলা এবং দুঃস্থ ব্যক্তিরাই এই ধরনের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। যা তাঁদের সার্বিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সাহায্য করে। শিক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, দক্ষতা, মনোভাবের বিকাশই হল এই প্রকল্পগুলির লক্ষ্য। এই প্রকল্পগুলি কোনওভাবেই সংবিধান বিরোধী নয়। বরং, সংখ্যাগুরুদের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের অসাম্য কমিয়ে আনতেই এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক। অর্থাৎ কেন্দ্রের বক্তব্যে স্পষ্ট, সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক এই প্রকল্পগুলি আগের মতোই চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সরকার। তবে কেন্দ্রে মোদি সরকার আসার পর থেকে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ হ্রাস করা হয়েছে ব্যাপক পরিমাণে যা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। এমনকি মুসলিমদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার বিরুদ্ধেও মত দেয় মোদি সরকার।