নিউজ ডেস্ক : চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে মোদির দেওয়া পূর্ব প্রতিশ্রুতি এবার পূরণ করতে #ModiJobDo টুইটার ট্রেড শুরু করেছে দেশের শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়। এই হ্যাশ ট্যাগটি সারাবিশ্বে বেলা ১১ টা পর্যন্ত অনেক বেশি ব্যবধানে শীর্ষে অবস্থান করছিল। তখনো পর্যন্ত ৬০ লাখের বেশি টুইট করা হয়েছে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে। পশ্চিমবঙ্গ কেরালা তামিলনাড়ু আসাম পন্ডিচেরি সহ বিভিন্ন জায়গায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন থাকায় বর্তমানে মোদি সরকারের জন্য এটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার দাক্ষিণাত্যের মোদির ভ্রমণ বয়কট করে গো ব্যাক মোদি এই হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করছেন বহু মানুষ। ভারতবর্ষে এই হ্যাশট্যাগ টুইটারের ট্রেন্ডিং এ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই হ্যাশ ট্যাগটা ব্যবহার করে ৬ লক্ষ মানুষ এখনো পর্যন্ত টুইট করেছেন।
২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠনের পূর্বে নরেন্দ্র মোদি বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন জনসভায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশে বিজেপি সরকার আসার পর ২ কোটি যুবককে চাকরি দেবে তার সরকার। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর থেকে চাকরির বাজার এতটাই খারাপ হয়েছে যে নতুন চাকরি সৃষ্টির পরিবর্তে চাকরি ছাঁটাইয়ের সংখ্যা অনেক বেশি হয়েছে। এমনকি বেকারত্বের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে হতে গত অর্ধ শতাব্দীতে সবথেকে খারাপ অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে দুই কোটি চাকরির প্রলোভন দেখানো মোদি সরকার দেশের বেকারের সংখ্যা গণনা করা ছেড়ে দিয়েছে। তার ওপরের মোদি সরকার বেসরকারিকরণ করে চলেছে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলির যার ফলে চাকরির বাজারে আরো ব্যাপক খরার সৃষ্টি হচ্ছে।
যে সমস্ত চাকরির জন্য পূর্বে নিয়মিত পরীক্ষা নেওয়া হতো সেই সমস্ত ক্ষেত্রে বর্তমানে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে সফল প্রার্থীদের কর্মে যোগদান পর্যন্ত এতটাই অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে যে সময় লাগছে প্রায় ৫ বছরের বেশি। আবার পরীক্ষা গুলিতে নেয়ামক সংস্থাগুলির গাফিলতির কারণে উঠছে দুর্নীতির নানাবিধ অভিযোগ যার ফলে বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হচ্ছে মামলা এবং আটকে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই সমস্ত বিষয় সমাধান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েও এতদিন কেন চুপ রয়েছে সেজন্যই এই দুইটার ট্রেন চালানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে দেশের চাকরিপ্রার্থীদের তরফ থেকে।