
সম্প্রতি দেশে মসজিদ ও মাদ্রাসা ভাঙার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে, যা “বেআইনি নির্মাণ” নামক অভিযোগের আড়ালে ঘটছে।কেন্দ্রীয় প্রশাসনের এই পদক্ষেপে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সংবেদনশীলতা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।
উত্তর প্রদেশ সরকারের উদ্যোগে ভারত-নেপাল সীমান্তের ১৫ কিমি এলাকাজুড়ে অন্তত ২০টি মসজিদ ও মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা হয়েছে। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বহু বেআনি স্থাপনা সরানো হয়েছে বাহরাইচ, শ্রাবস্তী, সিদ্ধার্থনগর, মহারাজগঞ্জ, বলরামপুর ও লখিমপুর খেরি জেলাগুলিতে। এই কাজ রাজস্ব কোডের ৬৭ ধারা অনুযায়ী করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শ্রাবস্তী জেলায় ১৭টি অনুমোদনহীন মাদ্রাসা বন্ধ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০টি ছিল ভিঙ্গা এবং ৭টি জামুন্হা এলাকায়। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, আইনি কাগজপত্র না থাকায় এইগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সিদ্ধার্থনগরের নওগড় এলাকায় একটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসাসহ পাঁচটি স্থাপনা ভাঙা হয়েছে। শোহরাতগড়েও ছয়টি অবৈধ স্থাপনার খোঁজ মিলেছে।

ঠিক একই ভাবে লখিমপুর খেরির পালিয়া এলাকায় একটি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাহরাইচের নানপারা এলাকায় ৮৯টি বেআইনী স্থাপনা সরানো হয়েছে। মহারাজগঞ্জে এখনও একটি মামলার শুনানি চলছে বলে জানা গিয়েছে।