নিউজ ডেস্ক : আজ কোচবিহারের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুসলিমদের ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করে রাজনীতি করার অভিযোগ করেন। আবার তিনি বলেন, বর্তমানে মুসলমানরা আর দিদির সঙ্গে নেই। তাই তিনি নির্বাচনে হারছেন তা বোঝাই যাচ্ছে।
কোচবিহারের সভায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, “মমতা (Mamata Banerjee) জনসমক্ষে সব মুসলমানকে এক হতে আহ্বান করেছেন। বলেছেন, সব মুসলমান এক হও, ভোট ভাগ হতে দিও না। আপনি এসব বলছেন মানে আপনিও বুঝতে পারছেন, মুসলিম ভোটব্যাংকও আপনার হাতে নেই। মুসলিমরাও আপনার সঙ্গে নেই। আপনাকে জনসমক্ষে এসব বলতে হচ্ছে মানে আপনি ভোটে হারছেন এটা নিশ্চিত।” মোদির অভিযোগ, মমতা যেমন বলছেন, তেমন যদি আমি বলতাম যে, সব হিন্দু এক হয়ে বিজেপিকে ভোট দাও, তাহলে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) আমাকে ৭-৮ দিনের জন্য নোটিস দিয়ে দিত। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও নোটিস আসে। জানি না, কমিশন আপনাকে নোটিস দেবে কিনা। কিন্তু আপনার বক্তব্য বলে দিচ্ছে আপনি হারছেন।” মোদির অভিযোগ, ১০ বছর রাজ্যে তৃণমূল স্রেফ তোষণ করেছে। উন্নয়ন করেনি।
যদি এখনও পর্যন্ত বহুবার নির্বাচনী জনসভায় হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের রাজনীতির পক্ষে বিভিন্ন মন্তব্য করা নরেন্দ্র মোদির কাছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কোনো নোটিশ যায়নি। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত থাকার পরেও মোদি শ্মশান কবরস্থান এর মতো বিতর্কিত সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক মন্তব্য করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন। ধর্মীয় ভাবাবেগ বা প্রতীক ব্যবহার করে রাজনীতি করতে নির্বাচন কমিশন নিষেধ করলেও বারবার নিজেদের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী সহ সমস্ত বিজেপি নেতা জয় শ্রীরাম স্লোগান ব্যবহার করে যাচ্ছেন কিন্তু সে ক্ষেত্রেও নিরব নির্বাচন কমিশন।