গোলাম হাবিব,এনবিটিভি,মালদা: ভারসাম্যহীন মানুষের জন্য কখনো আবার ছোট বাচ্চাদের খাবার তুলে দিচ্ছে কখনো পশুদের চিকিৎসা এরকম নানান মহান কাজ করে এগিয়ে চলেছে টিম তারাশঙ্কর চ্যারিটি সদস্যরা। সন্তান এক জনের, কিন্তু মানুষ করছিলেন অন্যজন।এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তিকে টানা এক বছর ধরে নিজের সন্তান ভেবে সেবা চালাচ্ছিলেন সন্তানহারা এক মা।
মালদা জেলার রবীন্দ্রভবনে বাড়ি । মহিলার নাম মায়া সর্দার। তার সন্তান দীর্ঘ ৭ বছর আগে হারিয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গাতে খোঁজাখুজির পরেও তাকে পাওয়া যায়নি। তারপর রাস্তার মধ্যে ঘুরতে থাকা এক মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে নিজের সন্তান ভেবে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পালন করছিলেন। তারপর ১ বছর রাখার পর বুঝতে পারে বাড়ির লোক,এটা তার সন্তান নয়। তারপর সেই সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় কিন্তু মায়ের মন তখনও আকড়ে রেখেছিলো তার সন্তানের প্রতি। ওই মহিলা তখন এক ফাঁকা বাগানে থাকতে লাগলো বৃষ্টি ও ঝড়ের মধ্যেই। স্থানীয়রা ফোন করে জানিয়েছিলো টিম তারাশঙ্কর চ্যারিটিকে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিম তারাশঙ্কর চ্যারিটির সদস্যরা নাম ও ঠিকনা শুধুমাত্র জানতে পারেন। পাপ্পু ও গাজীপুর ও কাদিপুর। তথ্য পেয়ে গুগলে সার্চ করে, উত্তর প্রদেশের গাজীপুর জেলার এডিশনাল এসপি র নাম্বারে ফোন করা হয়। সেখানকার এডিশনাল এসপি সহ গাজীপুরের সমস্তু পুলিশ স্টেশনে তার ছবি ফরওয়ার্ড করে দেয়। মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে তার সমস্ত পরিচয় দেন।
তার নাম পাপ্পু যাদব, বাবার নাম স্বর্গীয় যুমুনা যাদব।
উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর জেলার নোনহারা থানার অন্তর্ভুক্ত কাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা পাপ্পু যাদব।
পরিবারের লোক প্রায় আড়াই বছর ধরে খুঁজেছে। রেল স্টেশন, হাসপাতাল, বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দেওয়ার পরও পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ আড়াই বছর পর হদিস পাওয়া গেলেও এই লকডাউনের মধ্যে আসা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। ।
তারপর টিম তারাশঙ্কর চ্যারিটির পক্ষ থেকে কন্ট্রাক্ট করা হয় সেখানকার গাজীপুরের বহুজন সমাজবাদী পার্টির(বিএসপি) এমপি(সংসদ) আফজাল পাপ্পুকে পরিবারে ফিরিয়ে দেন। পাপ্পু আজ বাড়ি এসে পৌঁছায়। এতদিন পর পাপ্পু পরিবারে ফিরে আসায় পরিবারের সকলেই খুব খুশি।