স্কুল শিক্ষক বদলি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। রাজ্যে বদলি নিয়ে উদবিগ্নতা প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি।পরামর্শ দিয়েছিলেন শিক্ষক বদলি নীতিতে বদল আনার।শুক্রবার শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে নতুন গাইডলাইন জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর।
শুক্রবার রাজ্যে হাইকোর্টে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দু মুখোপাধ্যায় বিচারপতিকে জানান,শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে আদালতের পরামর্শ মেনে এবার রাজ্যে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করতে পারে রাজ্য। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই নতুন গাইডলাইন জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতর।
নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, যে স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্রের অনুপাতে অসামঞ্জস্য রয়েছে, তা দ্রুত ঠিক করবে রাজ্য শিক্ষা দফতর।যে সমস্ত স্কুলে ছাত্রের থেকে শিক্ষকের সংখ্যা বেশী রয়েছে, সেখান থেকেই জেলারই অন্য স্কুলে শিক্ষকদের পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রত্যেক স্কুলে ছাত্রছাত্রীর অনুপাতে শিক্ষক বা শিক্ষিকার সংখ্যা ঠিক রাখতে হবে। এবং কোথায় কম -বেশী তালিকা রয়েছে সেই তালিকা প্রস্তুত করার কাজ করবেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকরা । কীভাবে এই গোটা প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে তা বিস্তারিতভাবে দেওয়া রয়েছে গাইডলাইনে।
যাঁরা নতুন চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সেই স্কুলে পাঠানো যেতে পারে, যেখানে শিক্ষকের সংখ্যা কম।
যে সব শিক্ষক বা শিক্ষিকার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যাঁদের বাড়িতে ছোট সন্তান রয়েছে, যাঁদের অবসরের মাত্র ২ বছর বা তার কম বাকি, তাঁদের যাতে বদলি না করা হয়, তেমনই বলা হয়েছে গাইডলাইনে।
পুরুষ শিক্ষককে মহিলাদের স্কুলে বদলি করা যাবে না।এক্ষেত্রে কোনও জেলার যে স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি, সেই স্কুলের শিক্ষককে বদলি করা যেতে পারে ওই একই জেলার অন্য স্কুলে, যেখানে শিক্ষকের অভাব রয়েছে।
কোন স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কম, কোথায় বেশি, সেই সংক্রান্ত তথ্য শিক্ষা দফতরে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-কে।