এবার উত্তর প্রদেশের পুলিশের সহযোগিতায় বজরং দলের কর্মীরা হেনস্থা করল খ্রিস্টান সন্ন্যাসীনিদের

নিউজ ডেস্ক : মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে এবং ভিত্তিহীন অপবাদ দিয়ে মুসলিমদের আক্রমণ করা, এমনকি নিরীহ মুসলিমদের গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা আজকাল বজরং দলের সন্ত্রাসীদের কাছে খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এই ব্যাপারে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশেষ করে পূর্ণ সহযোগীরা পায় যোগীর রাজ্য উত্তর প্রদেশের পুলিশের। কিন্তু এবার মুসলিমদের ছাড়িয়ে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পৌঁছে গেলো খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীদের কাছে। এবার উত্তর প্রদেশের পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ২ খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী এবং তাদের সঙ্গে দিল্লি থেকে উড়িষ্যা ভ্রমণ করা ২ সহযোগীকে জবরদস্তি খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা অভিযোগে হেনস্থা করল বজরং দলের কর্মীরা।

 

কেরালা কেন্দ্রিক সাইরো মালাবার চার্চের অন্তভূক্ত ওই ৪ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনুসারী দিল্লিতে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর সেখান থেকে ট্রেনে উড়িষ্যা যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে বজরং দলের ৪ কর্মী উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ স্টেশনে ট্রেনে চেপে তাদেরকে জেরা করা শুরু করে। সন্ন্যাসিনীদের ২ সহযোগিকে বিশেষ করে জেরা করা হয়। তাদেরকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তারা। কিন্তু ওই দুই মহিলা বার বার নিজেদের জন্ম সূত্রে খ্রিস্টান বলে দাবি করলেও তারা তা শোনেনি। তারা নিজেদের আধার কার্ড দেখালেও উত্তর প্রদেশের পুলিশ তাদেরকে হিন্দুত্ববাদীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে ট্রেন ঝাঁশি স্টেশনে পৌঁছানোর পর। তাদের ৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় কোনো কারণ এবং প্রমাণ ছাড়া বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কেরালার খ্রিস্টান চার্চের সংগঠনের তরফ থেকে বিষয়টির নিন্দা করা হয়েছে। বাম নেতা রমেশ ছেন্নিথা বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। উত্তর প্রদেশের পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। কংগ্রেস বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে মোদির কাছে চিঠি লিখে বিষয়টির তদন্ত দাবি করেছে। উত্তর প্রদেশের পুলিশ বা বজরং দল বা বিজেপির তরফ থেকে এই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Latest articles

Related articles