আবারো হাড় হিম করে দেওয়া ঘটনার সাক্ষী হলো উত্তরপ্রদেশে। চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটতে দেখে রীতিমতো শিউরে ওঠে হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসা করতে আসা মানুষজন। নবজাতকের মাথা নিয়ে রীতিমতো টানাহিঁচড়া করছে একদল কুকুর। কুকুরগুলোকে তাড়াতে গিয়ে দেখা যায়, শিশুর মাথাটি প্রায় অর্ধেকটা খেয়ে ফেলেছে ওই কুকুরের দল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর মেডিকেল কলেজে। স্বাভাবিকভাবেই এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে তুমুল বিতর্ক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার দায় নিতে অস্বীকার করছে। তারা এই ঘটনার পেছনে নবজাত শিশুর পরিবারকে দোষারোপ করছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শিশুর পরিবারের গাফিলতির কারণে ঘটেছে এমন ঘটনা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মারফত জানা যাচ্ছে, অপরিণত অবস্থায় জন্ম হয় ওই শিশুর। সেই সময় শিশুর ওজন ছিল মাত্র ১.৩ কেজি। সঙ্গে ছিল একাধিক জন্মগত ত্রুটি। যার ফলে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছিল বিশেষ নবজাতক পরিচর্যা ইউনিট বা এসএনসিইউ- তে।
শিশুটির জন্ম হয় ৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ রবিবার। হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীরা এই ঘটনা দেখেন ১১ই ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খবর যায়, একটি মৃত নবজাতকের মাথা খাওয়ার চেষ্টা করছে একদল কুকুর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ সেখানে গিয়ে একটি মাথাবিহীন শিশুর দেহ উদ্ধার করে। কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে, শিশুর পরিবার থেকে তাঁর মৃতদেহ সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এরপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সবার আগে সেই দেহ সরিয়ে ফেলে। ললিতপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডি নাথ এই ঘটনার জন্য ৪ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করে, এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন। মেডিকেল টিমকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।