দিল্লির বায়ুদূষণের পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের হাত। এমনই আজব দাবি উত্তরপ্রদেশ সরকারের। এই সাফাইয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই আদালতের কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টে এদিন দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে শুনানি চলাকালীন এমনই আজব দাবি করল উত্তরপ্রদেশ সরকার। দিল্লি দূষণ মামলার শুনানিতে উত্তর প্রদেশ সরকারের আইনজীবী রঞ্জিত কুমার বললেন, দূষিত বায়ু আসছে পাকিস্তান থেকে। যা শুনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বললেন, ‘আপনি কি তাহলে দূষণ রুখতে পাকিস্তানের কলকারখানা বন্ধ করতে বলছেন!’ দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৃহস্পতিবারই দিল্লি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগেছিল শীর্ষ আদালত।
দূষণে মুখ ঢেকেছে দিল্লি। ধোঁয়াশায় মুড়েছে রাজপথ। বাতাসে ভাসছে বিষ। দীপাবলির পর যেন সেই দূষণ আরও বিকট আকার নিয়েছে। সেই সময় থেকেই নষ্ট শস্যের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়ায় সৃষ্ট দূষণকে কেন্দ্র করে শুরু হয় পারস্পরিক চাপানউতোরের খেলা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায়, ১৩ নভেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত স্কুল-কলেজ। সোমবার তা খুললেও ফের শুক্রবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজধানীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রসঙ্গত, দিল্লি-সহ আশপাশের এলাকায় যে হারে বায়ুদূষণ বাড়ছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি সরকার এবং লাগোয়া রাজ্যগুলিকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, মূলত শিল্পাঞ্চল থেকে এবং অত্যাধিক গাড়ির ব্যবহারই দিল্লিতে দূষণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ৷ আদালতের নির্দেশ, সমস্যা সমাধানে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে৷