
ভারতের অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় খ্রিস্টানরা একত্রিত হয়ে রাজ্যের ধর্মান্তর বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। বর্তমানে, ধর্মান্তর প্রতিরোধের জন্য সরকার ১৯৭৮ সালের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের বিধি তৈরির কাজ শুরু করেছে, যা হাইকোর্টের নির্দেশে চলছে। এই নতুন আইন প্রণয়ন হলে, রাজ্যে ধর্মান্তরকরণ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। এই আইনটি মার্চ মাসের শেষ নাগাদ কার্যকর হওয়ার কথা, এবং এটি অরুণাচল প্রদেশ স্বাধীন ধর্মের অধিকার আইন নামে পরিচিত। বর্তমানে ভারতের ১১টি রাজ্যে ‘ধর্মান্তর বিরোধী’ আইন রয়েছে। এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন অরুণাচল প্রদেশ খ্রিস্টান ফোরাম নামক একটি সংগঠন। তাদের দাবি, এই আইন ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করে। তাই, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন চলছে। হাজার হাজার খ্রিস্টান মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন এবং দাবি করছেন, অরুণাচল প্রদেশকে খ্রিস্টান রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। অরুণাচল প্রদেশ খ্রিস্টান ফোরামের সভাপতি তাহর মিরি বলেন, “অন্যান্য উপজাতীয় ধর্মগুলো রক্ষা করা হয়েছে, কিন্তু খ্রিস্টধর্মকে নয়। আমরা খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হলেও আমাদের প্রথাগুলো একই রকম বজায় রেখেছি।”

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার তার ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, “খ্রিস্টান ফোরাম নামে একটি সংস্থা অরুণাচল প্রদেশকে স্বাধীন খ্রিস্টান রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের যেসব জায়গায় হিন্দু সংখ্যালঘু হয়েছে, সেখানে বিতাড়িত হতে হয়েছে এবং দেশ বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কাশ্মীর ও মণিপুরের উদাহরণ দেওয়া যায়। হাজার হাজার লোককে যীশুর শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়েছে। এটি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি, কিন্তু ভারত সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি নিশ্চিহ্ন করবে।”