তৃণমূলে জায়গা নেই রাজীবের, প্রতিবাদে ফেটে পরল ডোমজুর বাসি

দলের কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন না। বিজেপিতে মোহের লোভে ছুটে গিয়েছিলেন, তখন ডোমজুড়ের কথা ভেবে তৃণমূল নয় বিজেপির হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। দলের দুর্দিনে পাশে ছিলেন না, এখন ২১৩ বিধায়ক নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। আর সেই সুযোগে নেতাদের ‘দুয়ারে দুয়ারে’ ঘুরে তৃণমূলে ফেরার ফন্দি আঁটছেন রাজীব। কিছুদিন আগেই তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক কুণাল ঘোষের বাড়িতে যান রাজীব। ঘটনাটিকে সৌজন্যতা বললেও, সূত্রের খবর। সেদিন দলে যোগ দেওয়া নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আর যতদিন যাচ্ছে রাজীবের তৃণমূলে ফেরার চান্স বাড়ায় ক্ষুদ্ধ ডোমজুড়ের তৃণমূল কর্মীরা।

গত দু’দিন ধরেই বেজায় ক্ষুদ্ধ ডোমজুড়ের সমস্ত তৃণমূল সমর্থকেরা। আজ সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে হাওড়া-আমতা রোডে। এদিন সকালেই রাজীবকে তৃণমূলে না ফেরানোর জন্য অবস্থান বিক্ষোভ চলে তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থক ও সাধারণ মানুষের। তাদের দাবি, যখন দলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল সেদিন নিকের স্বার্থে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তিনি, এখন দল ওনাকে ছাড়াই আরও বেশি শক্তিশালী, তাই কোনও প্রয়োজন নেই রাজীবের। এদিন ডোমজুড়ের শলপ বাজারের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে, রাজীবের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি রাজীবকে তৃণমূলে নেওয়ার বিরুদ্ধে শলপ বাজার থেকে স্কুল বটতলা পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূলের নীচুর তলার কর্মীরা।

‘গদ্দার’, ‘মীরজাফর’, রাজীবের বিরুদ্ধে ফ্লেক্স নিয়েও হাঁটেন সকলেই। কর্মীদের এও দাবি, ‘রাজীব তৃণমূল ছেড়ে সরকারের নানা কাজ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন, সমালোচনা করেছেন, এতে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাত্‍ মঙ্গলবার তৃণমূলে ফিরছেন রাজীব, তবে এবার তাঁকে নদিয়া জেলায় পাঠানোর চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে দল।

Latest articles

Related articles