“রাজৌরি থেকে ভয়াবহ খবর। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনিক পরিষেবার একজন নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাকে আমরা হারিয়েছি। মাত্র গতকাল তিনি উপমুখ্যমন্ত্রীর সাথে জেলা পরিদর্শন করেছিলেন এবং আমার সভাপতিত্বে হওয়া একটি অনলাইন সভায় অংশ নিয়েছিলেন। আজ পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে রাজৌরি শহরকে লক্ষ্য করে এই কর্মকর্তার বাসভবন আক্রান্ত হয়, যেখানে আমাদের অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন কমিশনার শ্রী রাজ কুমার থাপ্পা প্রাণ হারান। এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমার হতবাক ও বেদনার কোনো শেষ নেই। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।” — ওমর আব্দুল্লাহ তার x হ্যান্ডেলে লেখেন।

জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে রাজ্য প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। শনিবার সকালে রাজৌরি শহরে বাড়িটি আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন কমিশনার রাজ কুমার থাপ্পার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ শোক প্রকাশ করে এক টুইটে বলেন, “গতকালও তিনি উপমুখ্যমন্ত্রীর সাথে জেলা পরিদর্শন করেছিলেন। আজ তার বাড়ি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। এই মৃত্যুতে আমি হতবাক।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের ভারী অস্ত্রের গোলাবর্ষণে রাজৌরির আবাসিক এলাকাগুলোতে আতঙ্ক ছড়ায়। অপশাম্বু মন্দিরের কাছে পাওয়া গেছে গোলার টুকরো। এক আহত নাগরিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রধান ফারুখ আহমেদ ওয়ানি জানান, চিকিৎসা অবিলম্বে শুরু হয়েছে।

এদিকে, পাঞ্জাবের জালন্ধরের কাঙ্গানিওয়াল গ্রামে এক বাড়িতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সুরজিৎ কাউর জানান, “লাল রঙের আলোর ঝলকানি ও ভয়ানক বিস্ফোরণে ঘরের জলের ট্যাংক উড়ে গেছে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অন্ধকারে সবাই আতঙ্কিত ছিলাম।”
শনিবার ভোরে ভারত পাকিস্তানের চারটি বিমানঘাঁটিতে জবাবি হামলা চালায়। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান সীমান্তে ২৬টি স্থানে গোলাবর্ষণ করলে ভারত পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) এখনও গুলিবিনিময় চলছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও এলওসি বরাবর ২৬টি স্থানে সশস্ত্র ড্রোন দেখা গেছে। ফিরোজপুরে একটি ড্রোন হামলায় এক পরিবার আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কতা জারি করে বাড়ির ভেতরে থাকতে ও নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলতে বলেছে।
গত ৭-৮ মে রাতে পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করে ভারত। লাহোরে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করা হয় বলে দাবি করা হয়।
বর্তমানে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রেখেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার আবেদন জানানো হয়েছে।