বাংলার বুকে ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে। যা কার্যত পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই চলবে। সেই এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। সংখ্যালঘু ভাইবোনদের কাছে অতি পবিত্র এই মাসে থাকে রোজা পালনের রীতি। সেই সময়েই রাজ্য সরকার রেশন থেকে বাড়তি খাদ্য সামগ্রী প্রদান করে। কিন্তু এবারে যেহেতু নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি লাগু রয়েছে তাই রাজ্য সরকারের পক্ষে এবারে রমজান মাসে রেশন থেকে কী কী দেওয়া হবে সেই বিষয়ে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তাই এই বিষয়ে এবারে নির্বাচন কমিশনই যা জানাবার তা জানিয়ে দিল।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সরকারি নিয়ম মেনে প্যাকেজ বিলি করতে কোনও বাধা নেই। তবে নতুন করে তাতে কিছু সংযোজন, বিয়োজন করা যাবে না। প্রাপকদের তালিকাতেও নতুন কোনও নাম যোগ হবে না। প্রতি বছর রমজান মাসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রেশন দোকান মারফত সংখ্যালঘু গ্রাহকদের বাড়তি ১ কেজি করে ময়দা, ১ কেজি করে চিনি, ১ লিটার করে সর্ষের তেল এবং ছোলা দেওয়া হয়। এটাই রাজ্য সরকারের তরফে রেশনে রমজান স্পেশ্যাল প্যাকেজ হিসাবেই চিহ্নিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রকল্প শুরু হয়েছে বাংলায়। প্রতি বছর এই তালিকায় সামান্য কিছু পরিবর্তনও থাকে। তবে এবার সেই পরিবর্তন একেবারেই করা যাবে না। অন্তত নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণা অনুযায়ী।
নির্বাচন কমিশনের তরফে এ বিষয়ে কড়া নির্দেশ জারি করার পাশাপাশি সংখ্যালঘু মহল্লায় থাকা রেশন দোকানগুলিতেও বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে। রমজান মাস শুরু হলেই কমিশন যা দেখবে তা হল, আগে থেকে নথুভুক্ত গ্রাহকেরা ওই বিশেষ প্যাকেজ ঠিকমতোন পাচ্ছেন কিনা, প্রাপকদের তালিকায় কোনও নতুন নাম যোগ হয়েছে কিনা, সেইসঙ্গে রাজনৈতিক সুবিধার্থে গণবণ্টন ব্যবস্থায় কোনও বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা। রাজ্যের রেশন দোকানগুলিকেও এ বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের খাদ্য দফতর থেকে।