নিজস্ব প্রতিবেদক,এনবিটিভি: তিনটি গুরুত্ব্পূর্ণ ধারায় মামলা রুজু করে গ্রেফতার হয়েছেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সার্জিল উসমানীকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ১৫৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই মুহুর্তে সার্জিল জেল হেফাজতে রয়েছেন। এই অবস্থায় সার্জিলের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর বন্ধুরা। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও, তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন জেএনইউ-পড়ুয়ারা । অবিলম্বে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনীকে নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রায় তিনশো জন ছাত্রছাত্রীর সাক্ষর সম্বলিত একটি বিবৃতি দিয়েছেন সার্জিলের বন্ধুরা।
পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সার্জিলের বন্ধুরা জানিয়েছেন, অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, সাথে ল্যাপটক, মোবাইল ও বই বাজেয়াপ্ত করাা হয়েছে। একজন পড়ুয়ার উপর অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না বলে পারছে দাবি। গ্রেফতারের কারন ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর সিএএ আইনের বিরোধী করে সার্জিল উসামনীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সেই বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশেল সঙ্গে পড়ুয়াদের সংঘর্ষ হয়। এর জেরে বেশ কয়েক জন অন্দোলনকারী পড়ুয়া এবং পুলিশ আহত হন। সেই ঘটনায় সার্জিল উসামানীর বিরুদ্ধে দুটি কেস রুজু হয়। সেই কেসের উপর ভিত্তি করে হত্যার চেষ্টা, অপরাধ সংঘঠিত করার হুমকি, ঘৃণা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রচার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীকে। এই ঘটনাকে ভালো চোখে দেখছে না দেশের ছাত্র সমাজ। কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে বার্তা দিয়েছেন সার্জিলের বন্ধুরা।
সার্জিল উসমানীর আইনজীবী আলি নবি জানিয়েছেন, সোমবার কোর্ট খুললেই উচ্চ আদালতে সার্জিলের জামিনের আবেদন করা হবে। আইনজীবীর বিশ্বাস উচ্চ আদালত সার্জিলের জামিন মঞ্জুর করবেন। এখন দেখার পালা সার্জিল উসমানী জামিনে মুক্তি পান নাকি সার্জিল ইমামের মতো তাকে কারাগারে বন্দী থাকতে হয়।