নিউজ ডেস্ক : কিছুদিন আগেই পৃথক রাজ্যের দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘অন্য দল থেকে যারা এসেছেন এসব তাঁদের বক্তব্য। বিজেপি রাজ্য ভাগ চায় না’। সব মিলিয়ে তাই এখন আশা-আশঙ্কার দোলাচলে গেরুয়া শিবির। বিষয়টি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হওয়ার আগে সৌমিত্রকে এই ব্যাপারে কথা না বলতে সতর্ক করে দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কিন্তু তারপরেও থেমে নেই সৌমিত্র। গত বুধবার রাতে তিনি একই ব্যাপারে ফেসবুকে এমন এক মন্তব্য করেন যা আবার বিজেপির অভ্যন্তরে ঘোর গোলযোগের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। তবে আশ্চর্য জনক বিষয় হল, মধ্য রাতের পর পোস্ট করার পর তিনি সকাল হওয়ার আগেই সেটা মুছে দেন তার ওয়াল থেকে। এখন প্রশ্ন উঠছে মুকুল রায়ের অতি ঘনিষ্ট এই নেতা বিজেপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বিরোধিতা সত্বেও এমন মন্তব্য কেন করলেন। আবার পরে তা মুছে দিলেন বা কেন? অনেকে বলছেন আসলে তৃণমূলে যাওয়ার জন্য তিনি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরিতেই ব্যস্ত। সে জন্য এই পথ তিনি বেছেছন। জানালেন সৌমিত্র খানের এক সহযোগী।
মধ্য রাতের সেই পোস্টে সৌমিত্র লিখেছিলেন, ‘রাঢ় বাংলা আমার পরিচয়, আমি জঙ্গলমহলের ছেলে, আমি বাঙালি’। সৌমিত্র খাঁ’র থেকে এই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। তবে বিজেপি শিবিরে আশঙ্কার মেঘ ঘন হচ্ছে।
বস্তুত, মুকুল রায় দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাওয়ার পর মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতাদের ঘিরে সন্দিহান গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, একাধিক বিধায়ক ও সাংসদ এখন বেসুরো। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় যে দলত্যাগ বিরোধী আইন আনতে চেয়ে সরব হয়েছেন তার অন্যতম কারণ আসলে দলীয় বিধায়কদের সতর্ক করা। বেশ কয়েকজন সাংসদও এই তালিকায় আছেন। সূত্র বলছে, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে এদের অনেকেই শিবির বদলাতে পারেন। এই কারণেই কি এদের মধ্যে থেকে কাউকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় ঠাঁই দেওয়ার ভাবনা রয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুটা এদিকে কিছুটা ওদিকে পা বাড়িয়ে থাকা সৌমিত্রর আসল ঠিকানা কোন ফুলে হয় সেটাই এখন দেখার।